আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ এপ্রিল ২০১৮, রবিবার |

kidarkar

কারাগার থেকে ফিরে যা বললেন ফখরুল

শেয়ারবাজার ডেস্ক: জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করার মামলায় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন দেশনেত্রী। আর এর দায় শুধু ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বলে অভিযোগ করছেন দলটির নেতারা।

এর আগেও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে কয়েক দফায় বন্দি হয়েছেন খালেদা জিয়া। বছরের বেশি কারাগারে থাকতে হয়েছে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলেও; কিন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে এইচ এম এরশাদের পর খালেদা জিয়াকেই দুর্নীতির দায় নিয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে এবার। তিন যুগের রাজনৈতিক জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে খালেদা জিয়া এবারই সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় পড়েছেন। তার স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে অবনতির দিকে, এমনকি চিকিৎসকদের দেয়া কোনো ওষুধও নাকি কাজে আসছে না।

শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে ঢাকার পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নেত্রীর শরীর খুব খারাপ। তার (খালেদা জিয়া) জন্য গঠন করা মেডিকেল টিম যে ওষুধ দিচ্ছে সেগুলো কোনো কাজেই আসছে না।’

‘এর আগে অসুস্থতার কারণে তিনি দেখা করতে পারেননি। এখনও তিনি অসুস্থ। আর আজকে তাকে দেখে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছি আমরা। তার শরীর আসলেই খারাপ। তিনি যে হাসপাতালে (ইউনাইটেড হাসপাতাল) চিকিৎসার কথা বলেছেন, সেখানে রেখে তার আশু চিকিৎসা প্রয়োজন।’

চেয়ারপারসন যে বর্ণনা দিয়েছেন, ‘তার বা হাত আস্তে আস্তে শক্ত হয়ে যাচ্ছে, এমনকি হাতের ওজনও বেড়ে গেছে। বাম পা থেকে শুরু করে পিছন পর্যন্ত ব্যথা বেড়ে গেছে। এখন সাধারণভাবে হাঁটা-চলাও তার জন্য মুশকিল হয়ে পড়েছে। আর এটা আস্তে আস্তে নিউরো সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং খয় হয়ে যায়। আর এক সময় এটা প্যারালাইসিসের মতো হয়ে যেতে পারে। বেগম জিয়ার ডান চোখটাও লাল হয়ে গেছে।’

‘আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি- আর বিলম্ব না করে খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। এটা সরকারের দায়িত্ব। এর যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে বা শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় তার ‘দায়-দায়িত্ব’ সরকারকেই নিতে হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা ফখরুল।

ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য নেতাকর্মীদের সাহসের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন।’

এর আগে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান। প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট অবস্থান করে পাঁচটার দিকে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.