ওজন কমায় লিচু!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: লিচু গ্রীষ্মকালীন একটি মিষ্টি, সুস্বাদু ও রসালো ফল। মৌসুমী ফল লিচু ভিটামিন ও খাদ্যশক্তির অন্যতম উৎস। পুষ্টির দিক দিয়েও বেশ সরস। লিচুর আর্দ্রতার পরিমাণও বেশি এবং ক্যালরিও বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুর ক্যালরি মূল্য ৭৯ কিলোক্যালরি। ক্যালরি মূল্য বেশি বলে ডায়াবেটিক মানুষের পরিমিতভাবে লিচু খাওয়া ভালো। ১০০ গ্রাম লিচুতে ক্যালরি পাওয়া যায় ৬৬, এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট আছে ১৬.৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৮ গ্রাম।
মানবদেহে লিচুর উপকারিতা রয়েছে অভাব ছাড়া। আসুন জেনে নেয়া যাক সেখান থেকেই কিছু কথা-
১) লিচু মানবদেহে ক্যান্সার হওয়ার প্রবনতা হ্রাস করে। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভানয়েডস নামক উপাদান স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
২) লিচুতে ভিটামিন এর মধ্যে আছে সি এবং মিনারেল এর মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার ও ফসফরাস। লিচু তে আছে অলগোনোল নামক একটি পদার্থ, এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করে, রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ও ত্বক কে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
৩) লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্বেতসার পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ১৩.৬ গ্রাম শ্বেতসার থাকে। এছাড়া লিচুতে ০.০২ গ্রাম ভিটামিন বি ১ এবং ০.০৬ গ্রাম বি ২ রয়েছে। এছাড়াও এতে কিছু পরিমাণে খনিজ লবণ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ০.৫ গ্রাম খনিজ লবণ পাওয়া যায় বলে জানান মাসুদা।
৪) লিচুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য ভালো। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৩১ মি.গ্রা ভিটামিন সি পাওয়া যায়। নানারকম চর্মরোগ ও স্কার্ভি দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। তাছাড়া এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে ও বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে।
৫) প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ১০ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম দেহের হাড় গঠন করে ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। লিচুতে অল্প পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৭ মি.গ্রা লৌহ।
৬) এছাড়াও লিচুতে রয়েছে থিয়ামিন, নিয়াসিন ইত্যাদি, যা লিচুর পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি করে। এসব ভিটামিন শরীরের বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়।
৭) এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি চর্বি কমাতে সাহায্য করে। লিচুতে খাদ্য হজমকারী আঁশ, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে জমে থাকে ও দেহ সুস্থ রাখে। এতে করে শরীরের ওজন কমাতেও উপকার হয়।
৮) লিচুতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু