আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ মে ২০১৮, মঙ্গলবার |

kidarkar

টানা ১০ কার্যদিবস পতনে বাজার: বাজার চাঙ্গায় প্রয়োজন নতুন ইস্যু

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মন্দা পরিস্থিতে কমছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। দরপতনের কবল থেকে কিছুতেই যেন মুক্তি মিলছে না। এখন অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, এক-পা এগোয় তো তিন পা পিছিয়ে যায় বাজার। অর্থাৎ সূচক একদিন বাড়ে তো কয়েক দিন কমে। যতটুকু সূচক বাড়ছে তার চেয়ে বেশি কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে নতুন ইস্যুর দরকার বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান-পতন থাকলেও দুই ঘন্টা পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় টানা ১০ কার্যদিবস পতনে বিরাজ করছে বাজার। মঙ্গলবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৫ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার ঝোক থাকলেও মাঝামাঝি সময়ে মুনাফাভোগী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এর কারণে বাজারে সেল প্রেসার বেড়ে যায়। পরিণতিতে সূচকের পতন ঘটে।

তারা আরও বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই বাজারকে ঘীরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে তাদের অনাস্থার কারণেই টানা সূচকের পতন ঘটছে। এই পতন থেকে বেরিয়ে আসতে হলে বাজারে নতুন ইস্যুর দরকার বলে মনে করেন তারা।

আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৫৪৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩০০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩.৭৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০৭২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৫৫ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ সোমবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৫৫৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৬০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩০০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ০.৫০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২০৭৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৩০ কোটি ৮১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৪ কোটি ৪৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩২টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৮০ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.