মেসির সামনে এখন শুধুই পেলে
শেয়ারবাজার ডেস্ক: মাত্র ২১ বছর বয়সেই মেসি বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কার দু’টির জন্য মনোনীত হন। পরের বছর তিনি প্রথমবারের মত বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কার দুটিকে এক করে নাম দেওয়া হয় ফিফা বালোঁ দর। উদ্বোধনী বছরেই এই পুরস্কার জিতেন তিনি। এরপর ২০১১ এবং ২০১২ সালের পুরস্কারও জিতেন তিনি।
২০১১-১২ মৌসুমে তিনি ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন। ২৪ বছর বয়সেই তিনি সব ধরনের অফিসিয়াল প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হন। ২৫ বছর বয়সে তিনি লা লিগায় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ক্লাব ও জাতীয় দল- উভয় মিলিয়ে তিনি তার ক্যারিয়ারের ৪০০তম অফিসিয়াল গোল করেন। একই বছরের নভেম্বরে তিনি লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লীগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হন। ২০১৭ সালের মে মাসে তিনি বার্সেলোনার হয়ে নিজের ৫০০ তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
রেকর্ড গড়া যেন তার বাঁ হাতের খেল। যখনই মাঠে নামছেন, তখনই তার কোন না কোন রেকর্ড দেখছে পুরো বিশ্ব। এবারও ব্যতিক্রম হলো না। বিশ্বকাপের জন্য এক প্রীতি ম্যাচে হাইতির মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে তিন গোল করার মাধ্যমে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদোকে টপকে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন মেসি। এখন তার সামনে কেবলই পেলে।
আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন অনেক আগেই। হাইতির বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে মেসির গোলসংখ্যা ছিল ৬১। ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদোর করা ৬২ গোল স্পর্শ করেন মেসি। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে আরো এক গোল করলে রোনালদোকে টপকে যান তিনি। ৬৪ গোল করে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ৭৭ গোল করে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে রয়েছেন সবার ওপরে।
হাইতির বিপক্ষে নিজের হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন মেসি। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এটি তার ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। এর ফলে শেষ তিন ম্যাচে দুই হ্যাটট্রিকসহ ছয় গোল করলেন এই বার্সেলোনা তারকা। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির গোলসংখ্যা ৬৪টি, সঙ্গে রয়েছে ৩৮টি অ্যাসিস্টও।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু