আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩১ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

হুইলচেয়ারে আমিই প্রথম মহাকাশে যেতে চাই

শেয়ারবাজার ডেস্ক: জন্মের সময় বলা হয়েছিলো সে ৫ বছরের বেশি বাঁচবে না। কিন্তু চিকিৎসকদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি নামক জটিল স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত ওই যুবক ডিজঅ্যাবিলিটি নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথম কোনো আফ্রিকান গ্রাজুয়েট হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন। তার লক্ষ্য এখন-শুধু পৃথিবী নয় মহাকাশ জয় করা।

এডওয়ার্ডের জন্ম হয়েছিল স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি নামক স্নায়বিক সমস্যা নিয়ে। সে বড় জোর পাঁচ বছর বেঁচে থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এখন তার বয়স ২৭।

এডওয়ার্ড বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, এমন কি করতে পারি যার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধীত্বর বিষয়টিকে সমাজ যে দৃষ্টিতে দেখে কিংবা যেভাবে ভাবে তাকে বদলে দিতে পারি? তখনই আমার মনে হল আমি মহাকাশে যেতে পারি।’ তার পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য অধ্যাপক স্টিফেন হকিন্সকে শ্রদ্ধা জানানো। যিনি নিজেও মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

এডওয়ার্ড জানান, ‘এই বছরের শেষে আমার বয়স হবে ২৮ বছর। সুতরাং দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অতিরিক্ত সময় বেঁচে আছি। আমার প্রতিদিনকার উপলব্ধি হচ্ছে এই যে, সবকিছুতেই আমার সাহায্য দরকার, খাওয়া দাওয়া, সকালে উঠে কাপড়র পরা, প্রকৃতপক্ষে সপ্তাহে সাতদিন চব্বিশ ঘণ্টা প্রতি মুহূর্তই আমাকে লোকজনের সাহায্য নিয়ে চলতে হয়।’

তিনি জানান, ‘আমার মা একজন রকস্টার। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা যেন আমি পাই সে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। প্রচলিত শিক্ষায় আমি যেন শিক্ষিত হতে পারি সেজন্য সে সব চেষ্টাই করেছে আমাকে মেইনস্ট্রিমের স্কুলে ভর্তির জন্য।’

এডওয়ার্ডের যে ধরনের ডিজঅ্যাবিলিটির ফলে ধীরে ধীরে কোন কোন অঙ্গ বা কোষের কর্মক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। কিন্তু তিনি প্রথম কোনও আফ্রিকান যিনি ডিজেনারেটিভ ডিজ্যাবিলিটি নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েট করেছেন। প্রতিবেদনে স্পাইনালের সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি বাংলা।

ওই প্রতিবেদনে স্পাইনালের আরো বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে স্পাইনাল বলেন, ‘এমন এক মহাদেশে বাস করছি যেখানে ডিজঅ্যাবিলিটি আছে এমন অধিকাংশ শিশুই স্কুলের ক্লাসরুম কেমন তা কখনোই জানেনা। আমি আমার গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করতে পারি। সেইসব শিশুদের কথা ভেবেই আমি সেটি করেছি। বিশ্বের সকল প্রতিবন্ধী মানুষই আমার অনুপ্রেরণার উৎস। যারা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে নতুন একটি দিনের সাথে লড়াই শুরু করে। আমি তাদের জন্য এমন একটি বিশ্ব চাই যা থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত।’

এডি এখন এমন এক বিশ্ব তৈরি করতে চান যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও সকল সুযোগ সুবিধার অধিকারী হবেন। তাদের স্বপ্নগুলো পাবে হয়ে উঠবে বাস্তব।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.