আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার |

kidarkar

মানবেদেহে দ্বিতীয় ‘মস্তিষ্ক’!

শেয়ারবাজার ডেস্ক: আপনি কি জানেন আপনার দেহে আরেকটি মস্তিষ্ক আছে? আপনার অন্ত্রে আছে লাখ লাখ নিউরনের একটি স্বায়ত্তশাসিত ম্যাট্রিক্স। যা আপনার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কোনো সহযোগিতা ছাড়াই আপনার অন্ত্রের মাংসপেশির নড়া-চড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই নিউরনগুলো বাস করে আপনার মলদ্বার এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী অঙ্গ বৃহদান্ত্র এবং মলাশয়ে।

অনেক বিজ্ঞানী এর নাম দিয়েছেন, আন্ত্রিক স্নায়ুতন্ত্র। আর যেহেতু এই সিস্টেম মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডের নির্দেশনা ছাড়াই কাজ করতে পারে সেহেতু অনেক বিজ্ঞানী একে নাম দিয়েছেন ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’।

এই আন্ত্রিক মস্তিষ্ক ঠিক কতটা স্মার্ট তা এখনো পুরোপুরি উদঘাটন করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে ইঁদুরের ওপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে বেশ স্মার্ট স্তন্যপায়ী প্রাণীদের এই দ্বিতীয় মস্তিষ্ক। গত ২৯ মে ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় JNeurosci নামক জার্নালে।

প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার গবেষক দল জানান, এই আন্ত্রিক স্নায়ুতন্ত্রের (ইএনএস) আছে লাখ লাখ নিউরন। যা অন্ত্রের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। খুবই সুক্ষ্ম স্নায়ুগত চিত্রায়ন কৌশলের সমন্বয়ে কাজ করে এই স্নায়ুতন্ত্র।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই স্নায়ুতন্ত্র বৃহদান্ত্রের মাংসপেশির নড়া-চড়া নিয়ন্ত্রণ করে। যা পেট থেকে মল বের করে দিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

কোনো কোনো বিজ্ঞানীর ধারণা মানবদেহের এই আন্ত্রিক স্নায়ুতন্ত্র এর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের আগেই গড়ে ওঠে। মলাশয়ের এই স্নায়ুগুলোর কর্মতৎপরতাই মানবদেহের সর্বপ্রথম কার্যকর মস্তিষ্কের প্রতিনিধিত্ব করে। তার মানে এটি আপনার দেহের ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’ নয় বরং ‘প্রথম মস্তিষ্ক’।

তাহলে বলা যায়, স্তন্যপায়ীদের দেহের প্রথম মস্তিষ্কের উদ্ভব ঘটেছে মলত্যাগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এবং এরপর আরো জটিল কার্যক্রমের জন্য।

যাই হোক, এই প্রথম বিজ্ঞানীরা মলাশয়ে এমন স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্রের সন্ধান পেলেন। তবে এখন পর্যন্ত শুধু ইঁদুরের ওপর গবেষণা করেই বিষয়টির অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া গেছে। যা হয়তো মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ওপরও প্রয়োগ করা যাবে। তবে মানবদেহের আন্ত্রিক স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষমতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে আরো অনেক গবেষণা করতে হবে। এবং এজন্য বিজ্ঞানীদেরকে হয়তো নিজেদের দুটো মস্তিষ্ক দিয়েই আরো গভীরভাবে গবেষণা ও চিন্তা করতে হবে! -সূত্র: লাইভ সায়েন্স

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.