ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে ওজন কমে!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরের ভিতর নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে একাধিক রোগ দূরে পালায়। শুধু তাই নয়, দেহের সার্বিক কর্মক্ষমতাও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই তো যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে আজ থেকেই ঠান্ডা জলে স্নান করা শুরু করুন। দেখবেন দারুন সব উপকার পাবেন। ঠান্ডা জলে স্নান করলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
১) পেশীর ক্ষমতা বাড়ে- একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঠান্ডা জলে স্নান করলে পেশীর ক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমে যেতেও সময় লাগে না। এই কারণেই তো শরীরচর্চার পর ঠান্ডা জলে স্নান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
২) ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে- ঠান্ডা জলে ডুব লাগানোর সময় আমরা শ্বাস বন্ধ করে জলের তলায় যাই। যে মুহূর্তে শ্বাস ফরিয়ে যায়, অমনি হাপুস হুপুস করে অক্সিজেন টেনে নেওয়ার প্রচেষ্টায় লেগে পরি। এমনটা করার সময় আমাদের ফসুফুসের কর্মক্ষমতা মারাত্মক বেড়ে যায়। যাদের পুকুরে স্নান করার অভ্যাস রয়েছে, তাদের ফুসফুস কতটা কর্মক্ষম একবার ভেবেই দেখুন।
৩) শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়- ঠান্ডা জলে সকাল সকাল ডুব লাগালে শরীর থেকে বেশ কিছু ক্ষতিকর অ্যাসিড বেরিয়ে যায়। ফলে পেশিতে কোনও চোট থাকলে তা দ্রুত সেরে উঠতে শুরু করে। এই কারণেই তো খেলোয়াড়রা ইনটেন্স ট্রেনিং-এর পর ঠান্ডা জলে স্নান করে থাকেন। আসলে ঠান্ডা জল পেশির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪) শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ে- ঠান্ডা জলে স্নান করার সময় আমাদের শরীর থেকে এন্ডোরফিন এবং নোরাড্রেনালিন নামে দুটি কেমিকেলের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই দুটি কেমিকেল শরীর থেকে যত বেরিয়ে যেতে থাকে, তত আমাদের ক্লান্তি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
৫) চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়- সকাল সকাল ঠান্ডা জলে স্নান করলে ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। আসলে ত্বক এবং চুলের ভিতর থাকা প্রকৃতিক তেল যাতে বেশি মাত্রায় ক্ষরণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে ঠান্ডা জল। ফলে ত্বক বা চুল আদ্র হয়ে গিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬) ওজন হ্রাস পায়- আমাদের শরীরে দু ধরনের ফ্যাট থাকে। একটা হল ব্রাউন ফ্যাট, যা শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। আর আরেকটি হল হোয়াইট ফ্যাট, যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। ঠান্ডা জলে স্নান করার সময় ব্রাউন ফ্যাট খুব অ্যাকটিভ হয়ে যায়। ফলে একদিকে যেমন শরীরের এনার্জির ঘাটতি দূর হয়, তেমনি ক্যালোরি বার্ন হতে শুরু করে। ফলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত সাদা চর্বি ঝড়ে গিয়ে দেহ মেদমুক্ত হয়ে ওঠে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু