আজ: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ মে ২০১৫, রবিবার |

kidarkar

দেশে কোনো গরীব থাকবে না: মুহিত

মুহিতশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ‘দেশের মানুষ দারিদ্র্যের শিকার। তাই ক্ষুদ্র ঋণের প্রয়োজন। তবে আগামী দশকে হয়তো দেশে কোনো গরীব থাকবে না।  তখন আরও বড় পরিসরে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ ১০ মে, রোববার দুপুরে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ২৫ বছর পূর্তির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রায় ২০ হাজার নিবন্ধিত ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে উল্লেথ করে অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত বলেন, ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খুবই মূল্যবান। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পিকেএসএফ কিছু মৌলিক বিষয়-যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুযোর্গ ব্যাবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কাজ করছে।

মুহিত বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পরই এদেশে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন হয়।গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর আশির দশকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে নতুন নতুন প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়। নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনার শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। যার ফলশ্রুতিতেই প্রতিষ্ঠা পায় পিকেএসএফ। এটি নিজস্ব অর্থায়নে নিজেদের একটি প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা আসে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর। তখন দেখা গেল, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যক্তিকেন্দ্রীক নয়, ক্ষুদ্র ঋণ একজনের উপর নির্ভর করেনা, ক্ষুদ্র ঋণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে পারে’। ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা বহু পুরানো। এদেশে ১৯০৪ সালে ক্ষুদ্র ঋণ চালু হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় তা ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রীক।

পিকেএসএফ তার নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (এএইচ মাহমুদ আলী) বলেন, গত ছয় বছরে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বর্তমান সরকার অনেক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নিরক্ষরতা দ‍ূরীকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

‘প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানোর জন্য শিল্পায়নের বিকাশ দরকার। এজন্য বিনিয়যোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিচ্ছে সরকার। আর এক্ষত্রে পিকেএসএফসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে,’ বলেন তিনি।

পিকেএসএফ-এর প্রশংসা করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে ভালো অবস্থানে চলে আসার পেছনে অন্যতম সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে পিকেএসএফ। মঙ্গা দ‍ূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা সেক্টরে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানের পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ সংস্থাটির নেওয়া (পিকেএসএফ) বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, ক্রীড়া ও মননশীলতার বিকাশে বিভিন্ন উদ্যোগকে উৎসাহিত করছে পিকেএসএফ।

অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিসহ বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখায় গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.