এমএল ডাইংয়ের আইপিও আবেদন শুরু
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এমএল ডাইং লিমিটেডের আইপিও আবেদন আজ ৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। যা চলবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১৫ মে এমএল ডাইংয়ের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয় কমিশন।
উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয় এবং স্থাপনের পাশাপাশি আইপিওতে খরচ করবে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু হয়েছে ২৩.৭১ টাকা। আর শেয়ার প্রতি ভারিত গড় হারে আয় হয়েছে ২.৩৫ টাকা।
এমএল ডাইং লি: ২০১৭-২০১৮ হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জুলাই ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত কোম্পানিটি ১১৮ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছে এবং শেয়ার প্রতি আয় করেছে ০.৭৬ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ১১৭ কোটি ৯০ লাখ ৫৪ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছিল এবং শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ০.৭৩ টাকা।
এদিকে অক্টোবর ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত তিন মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ০.৩৭ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ০.৪১ টাকা।
অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪.৪৭ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৩৬ টাকা।
কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর আইপিও এর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার অনুমোদন পেয়েছে। এ টাকা কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও ইক্যুইপমেন্ট ক্রয়ে ১৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং আইপিও খরচে বাকী টাকা ব্যয় করবে। আইপিও ফান্ড পাওয়ার ২১ মাসের মধ্যে এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করবে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এনবিএল ক্যাপিটাল এন্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লি: এবং রূপালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
জানা যায়, ফার গ্রুপের আরো দুইটি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এরা হলো: আরএন স্পিনিং এবং ফার ক্যামিকেল।
৩০ জুন, ২০১৭ হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির পণ্য বিক্রি হয়েছে ২২৯ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা এবং ইপিএস হয়েছে ১.৫৮ টাকা। এছাড়া এনএভি হয়েছে ২৩.৭১ টাকা।
এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত অর্থ বছরে কোম্পানিটির মোট ১৯২ কোটি ৩৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে এবং ইপিএস ১.১৮ টাকা। এছাড়া এনএভি ছিল ২২.১৩ টাকা।
ফার গ্রুপের অন্য দুই কোম্পানির কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি কাঁচামাল কেনে এমএল ডাইং। গেল বছর এমএল ডাইং ৮৩ কোটি ২৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার ইয়ার্ণ কিনেছে আরএন স্পিনিং এর কাছ থেকে। যা ইয়ার্ণ বাবদ মোট খরচের ৪৩.৩৫ শতাংশ।
এদিকে এমএল ডাইং ৩৭ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছে আরএন স্পিনিংয়ে।
২০০২ সালের ১ জুলাই থেকে উৎপাদন শুরু করা কোম্পানিটি পাবলিক লিমিটেডে কোম্পানিতে রূপান্তর হয়েছে ২০১০ সালের ২ জুন।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ও রূপালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু