আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ জুলাই ২০১৮, রবিবার |

kidarkar

তিন সিটিতেই বিজয় দেখছেন জয়

শেয়ারবাজার ডেস্ক: রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনে কাল সোমবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের বিজয় দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ রোববার তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে একটি প্রতিষ্ঠানের করা জনমত জরিপের তথ্য তুলে ধরে এই বিজয়ের কথা জানান তিনি। জয় লিখেছেন, ‘আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হবে। সিলেটেও আমরা সামান্য এগিয়ে। তবে সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, তিনি নির্বাচনের আগে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিন সিটিতে এ জরিপ করান। এই জুলাই মাসেই জরিপটি করা হয় বলে জানান জয়।

আরডিসির করা জরিপে দেখা গেছে, বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোটার। বিএনপির মুজিবুর রহমান সারোয়ারের প্রতি ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। এখানে কাকে ভোট দেবেন সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া ভোটারের সংখ্যা ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি এমন ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১৪ শতাংশ। মোট এক হাজার ২৪১ জন ভোটার এই জরিপে অংশ নেন।

আরডিসির করা জরিপে তিন সিটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি পেতে পারেন মোট ভোটের ৫৮ শতাংশ ভোট। আর বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পাবেন ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। এখানে সিদ্ধান্ত না নেওয়া ও প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাওয়া ভোটারের সংখ্যা যথাক্রমে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এ শহরে এক হাজার ২৯৪ জন ভোটার অংশ নেন।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী সিলেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৩৩ শতাংশ ভোট পেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। আর বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পাবেন ২৮ দশমিক ১ শতাংশ। এই শহরে সিদ্ধান্ত না নেওয়া ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ২৩ শতাংশ। এই শহরে জরিপে অংশ নেন এক হাজার ১৯৬ জন ভোটার।

এই গবেষণার পদ্ধতি এবং জরিপের কৌশলগত নানা দিকও তুলে ধরেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি লিখেছেন, তিন সিটির ভোটার তালিকা ধরেই এ জরিপ হয়েছে। সেখানে আদম শুমারিতে জনসংখ্যার লিঙ্গভিত্তিক যে ধরন আছে তার ওপর ভিত্তি করেই এ জরিপ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে থেকেই জরিপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জরিপে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, অংশগ্রহণকারীরা তিনি সিটির ভোটার। এখানে গ্রহণযোগ্য ভুলের মাত্রা (margin of error) হলো ২ দশমিক ৫।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্ট।সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্ট।সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে আরডিসির মাধ্যমে আমি জনমত জরিপের কাজ করছি। তারা যে পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং যে ফলাফল বেরিয়ে আসে সেসব গবেষণা থেকে, তা নির্ভুল। তবে এও ঠিক এবার যে জরিপের ফল তুলে ধরলাম তাতে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ এ জরিপ হয়েছে মাসজুড়ে। আর এর মধ্যে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার চলেছে। গত রাতে সে প্রচার শেষও হয়েছে। তাই ফলাফলে কিছু হেরফের হওয়া আশ্চর্যের কিছু না। তবে আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হবে। সিলেটে আমরা সামান্য এগিয়ে। তবে সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিএনপি হেন অভিযোগ নেই যা করেনি। কিন্তু বাস্তবতা হলো তারা সমস্ত জনসমর্থন হারিয়েছে। অন্যদিকে গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েছে। এখন আওয়ামী লীগের জন্য কোনো নির্বাচনে বিএনপি কোনো বিষয় নয়।”

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, “আমি আমার দলের কর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রতি আবেদন রাখব, তারা যে নির্বাচনী কেন্দ্র দখল এবং জোর করে ব্যালট পেপার ভরানোর চেষ্টার বিষয়ে সজাগ থাকেন। কেননা এসব কাজ নিজেরাই করে বিএনপি আওয়ামী লীগকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করবে। গাজীপুরের নির্বাচনের সময় বিএনপির নেতাদের টেলিফোন কথোপকথনের কথা আমরা জানি। তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছে যে, তাদের জেতার কোনো অবস্থা নেই। তাই তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করে আওয়ামী লীগকে বিপদে ফেলতে চায়।”

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.