সূচকের আঁইওয়াশে সপ্তাহ পার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান ঘটেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩দিনই বেড়েছে সূচক। বাকি দুই কার্যদিবস কমলেও এর মাত্রা ছিলো অত্যাধিক। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে। অপরদিকে ডিএসই-৩০ এবং শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচকে কিছুটা কিছুটা পতন ঘটেছে। এদিকে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স কিছুটা বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমান কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ৯৫২ টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৫৪৮ টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৬ কোটি ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭ টাকা। সে হিসেবে সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ২৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৯ টাকা ।
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ০.১৩ শতাংশ বা ৭.২১ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ০.৩১ শতাংশ বা ৫.৯০ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ১.২৯ শতাংশ বা ১৬.২৪ পয়েন্ট। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। এবং লেনদেন হয়নি ৩টির। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ৩ হাজার ৪৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ৯৫২১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৪২৯ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫১ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৮ কোটি ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ২০১ টাকা ০.২৫ শতাংশ।
আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭.৭৬ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৫.১৯ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২.৫৯ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ৪.৪৬ শতাংশ।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু