আজ: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ইং, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

রাখাইন পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামাল দেয়া যেত

শেয়ারবাজার ডেস্ক: রাখাইন পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামাল দেয়া যেত বলে স্বীকার করেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের মুখে সাত লাখ রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার এক বছর পর তিনি এ মন্তব্য করলেন। এ খবর দিয়েছে পার্সটুডে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আসিয়ানের ওপর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) বক্তৃতাকালে সু চি বলেন, “দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব পক্ষের প্রতি আমাদের সমান দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। সেজন্য কারা আইনের শাসনে সুরক্ষিত থাকবে তা আমরা নিজেরা নির্ধারণ করতে পারি না। তবে যেটা বোঝা যাচ্ছে, কিছু উপায় অবশ্যই ছিল যার মাধ্যমে পরিস্থিতিটা আরও ভালোভাবে সামাল দেয়া সম্ভব ছিল।”

রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য সংগ্রহে গিয়ে আটক হওয়া ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়েকে (২৮) এ মাসের শুরুতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমার। ওই দুই সাংবাদিকের দণ্ডাদেশের বিষয়ে সু চি বলেন, তারা সাজা পেয়েছেন আইন লঙ্ঘনের কারণে। তবে তারা আপিল করতে পারবেন।

জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায় এই দণ্ডাদেশকে বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত বললেও সু চি বলেন, এই আদেশ আইনের শাসন বজায় রেখেছে এবং এতে বাকস্বাধীনতার কোনো ক্ষতি হয়নি।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কথায় উঠে এসেছে রাখাইনে তাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ।

জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ থেকেই রাখাইনের অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।

ওই প্রতিবেদন আসার পর জাতিসংঘের বিদায়ী মানবাধিকার হাই কমিশনার জেইদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন অভিযানের ঘটনায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল।

তবে, মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতেই স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেন, তার দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেসব ‘ভুয়া’ অভিযোগ এ পর্যন্ত করেছে, সেগুলো তদন্তের জন্যও মিয়ানমার একটি কমিশন গঠন করেছে।

এরপর রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রয়েছে বলে হেগের ওই আদালত যে রায় ঘোষণা করেছে, তাও প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার সরকার।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.