এমএল ডাইংয়ের লেনদেন শুরু: মার্জিন সুবিধা বন্ধ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বস্ত্র খাতের কোম্পানি এমএল ডাইং লিমিটেডের লেনদেন শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় এ কোম্পানির লেনদেন। এদিকে এ কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে আগামী ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত মার্জিন সুবিধা পাবেন না বিনিয়োগকারীরা। ডিএসই সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।
‘এন’ ক্যাটাগরির আওতায় লেনদেন শুরু করতে যাওয়া এমএল ডাইংয়ের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানি ট্রেডিং কোড হবে “MLDYEING”। আর কোম্পানি কোড হবে ১৭৪৭৯। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) স্ক্রিপ আইডি ১২০৬৭।
এমএল ডাইং লিমিটেড ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জানুয়ারি’১৮ থেকে মার্চ’১৮ পর্যন্ত তিন মাসে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আইপিও শেয়ার হিসাব করে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৮ টাকা। আইপিও শেয়ার হিসাব না করে ইপিএস হয়েছে ০.৪৪ টাকা।
এদিকে জুলাই’১৭ থেকে মার্চ’১৮ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আইপিও শেয়ার হিসাব করে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৪ টাকা। আইপিও শেয়ার হিসাব না করে ইপিএস হয়েছে ১.১৯ টাকা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৪.৯১ টাকা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর এমএল ডাইং লিমিটেডের আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে। এর আগে গত ২৯ আগস্ট, বুধবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় কোম্পানিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদনর দেওয়া হয়। তারও আগে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) প্রতিষ্ঠানটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।
জানা যায়, গত ৯ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১০টায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট, আইইবি মিলিনায়তন, রমনা, ঢাকায় কোম্পানিটির লটারির ড্র’র অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ৮ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানির আইপিও সাবস্ক্রিপশন অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৫ মে এমএল ডাইংয়ের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয় কমিশন।
উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয় এবং স্থাপনের পাশাপাশি আইপিওতে খরচ করবে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু হয়েছে ২৩.৭১ টাকা। আর শেয়ার প্রতি ভারিত গড় হারে আয় হয়েছে ২.৩৫ টাকা।
কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর আইপিও এর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার অনুমোদন পেয়েছে। এ টাকা কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও ইক্যুইপমেন্ট ক্রয়ে ১৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং আইপিও খরচে বাকী টাকা ব্যয় করবে। আইপিও ফান্ড পাওয়ার ২১ মাসের মধ্যে এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করবে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এনবিএল ক্যাপিটাল এন্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লি: এবং রূপালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু