আজ: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ইং, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার |

kidarkar

বিটিআরসিকে কলরেট কমাতে ৯ দফা প্রস্তাবনা

শেয়ারবাজার ডেস্ক: গত ১৪ আগস্ট ২০১৮ হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রজ্ঞাপন জারী করে গ্রাহকদের ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হল এখন থেকে ভয়েস কলরেটে অন নেট অফ নেট থাকছে না। এখন থেকে রেট হবে পূর্বের ফ্লোর রেট ২৫ পয়সার স্থলে ৪৫ পয়সা আর সর্বোচ্চ সিলিং রেট ২ টাকা থাকবে।

হঠাৎ করে কল রেট বাড়ানোর কারণে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বরা) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভয়েস কলরেট বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দাবিতে মানবন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

মানবন্ধনের সংগঠনটি ভয়েস কলরেট কমাতে ৯ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইইটিইউ) সহায়তায় বিটিআরসি ভয়েস কলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রেট বেঁধে দেয়।

যে যুক্তি দিয়ে কল রেট বাড়ানো হয়েছে সেটি হাস্যকর উল্লেখ করে মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, যুক্তি অত্যন্ত হাস্যকর। কারণ প্রথমত মনোপলি ভাঙ্গার কাজ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার নয়, এজন্য আমাদের দেশে প্রতিযোগিতা কমিশন রয়েছে, আছে আইনও। যদিও তা কাগজে কলমে।

সেই সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি কস্ট মডেলিংও করেছিল। কিন্তু গত ১৪ আগস্ট ২০১৮ হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রজ্ঞাপন জারী করে গ্রাহকদের ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হলো এখন থেকে ভয়েস কলরেটে অন নেট অফ নেট থাকছে না।

ফলে রেট হবে পূর্বের ফ্লোর রেট ২৫ পয়সার স্থলে ৪৫ পয়সা আর সর্বোচ্চ সিলিং রেট ২ টাকা থাকবে। এর মধ্যে অপারেটররা যার যার সুবিধা দিতে পারবে। কারণ একটি অপারেটরের ৯০ শতাংশ কল হচ্ছে অন নেটে। অন্য অপারেটরদের ৭০ শতাংশ।

এ বিষয়ে আর রাষ্ট্র মালিকানাধীন টেলিটকের ১০ শতাংশ। যুক্তি হিসাবে বলা হলো- অন নেট, অফ নেট এক হওয়াতে মনোপলি ভাঙ্গা যাবে।

মহিউদ্দীন বলেন, আমরা মনে করি সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের গ্রাহকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য একটি আলাদা আইন ও কমিশন গঠন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

ভয়েস কলরেট কমাতে ৯টি দফা প্রস্তাবনা ও দাবী জানিয়েছে মুঠোফোন।

প্রথমত, অফ নেট, অন নেট প্রথা বাতিল করে সরাসরি একক কল লাইন চালু করার দাবী রাখছি।

দ্বিতীয়তা, কলরেট পূর্বের ২৫ পয়সা বা তারও কম করা যায় কিনা তার জন্য গণশুনানী ও নতুন করে কস্ট মডেলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

তৃতীয়ত, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গ্রাহক সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এটি আলাদা আইন ও কমিশন তৈরি করতে হবে।

চতুর্থত, কলরেটের ক্ষতিপূরণ গ্রাহককে দ্রুত ফেরৎ দিতে হবে।

পঞ্চমত, নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা আগামী ১ মাসের মধ্যে ঠিক করতে হবে।

ছয় নম্বরে, চলতি বাজেটে পাশ হওয়া ইন্টারনেটের উপর ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা কেন বাস্তবায়ন হলো না তার ব্যাখ্যাসহ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সাত নম্বরে প্রমোশনাল ম্যাসেজ যত্রতত্র পাঠানোর বন্ধের নির্দেশ কেন বাস্তবায়ন করছে না অপারেটররা তার ব্যাখ্যা ও এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আট নম্বরে এমএনপি চালুর পূর্বে অপারেটর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০ টাকা আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ভ্যাট কে প্রদান করবে এবং কীভাবে এ অর্থ আদায় হবে তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।

এছাড়া সয় ৯ নম্বরে ফোরজি-চালুর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার চুক্তি অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ২০ এমবিপিএস আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম বুলু।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবির চৌধুরী তন্ময়, পোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কাজী আমান উল্যাহ মাহফুজ, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন’র সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ শামছুল মনির, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, পেশাজীবি ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.