খুশকি দূর করবেন যেভাবে
শেয়ারবাজার ডেস্ক: পরিসংখ্যান বলছে, সিংহভাগ পুরুষ মানুষই চুলের এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে পার্থক্য একটাই। কারও সমস্যা শুধু শীতকালে অ্যাটাক করে। আবার কেউ কেউ সারা বছর ধরেই খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে আর চিন্তা নেই! কারণ এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত কাজে লাগালে খুশকির সমস্যা কমতে দেখবেন সময় লাগবে না। যে প্রকৃতিক উপাদানগুলিকে কাজে লাগিয়ে ত্বকের এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব, সেগুলি হল…
১. নিম পাতা: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, স্কাল্পের অন্দরে সংক্রমণের প্রকোপ কমানোর মধ্যে দিয়ে খুশকির সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, মাথা চুলকাতে চুলকাতে যদি জীবন দুর্বিসহ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে চুলের পরিচর্যায় নিম পাতাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
২. লেবুর মহিমা: স্কাল্প যখন খুব ড্রাই হয়ে যায়, তখনই সাধারণত খুশকির সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই তো স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতাকে যদি একবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়, তাহলে এমন সমস্যা কমতে দেখবেন একেবারেই সময় লাগবে না। এখন প্রশ্ন হল স্কাল্পের আদ্রতাকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব? এক্ষেত্রে প্রতিদিন লেবুর রস স্কাল্পে লাগাতে হবে। তাহলেই দেখবেন সমস্যা কমে গেছে। আসলে লেবুর রস লাগানো মাত্র স্কাল্পের অন্দরে পি এইচ লেভেল বাড়তে শুরু করে। ফলে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে, সেই সঙ্গে দূরে পালায় খুশকির সমস্যা।
৩. বেকিং সোডা: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে বেকিং সোডার সঙ্গে সম পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে বানানো পেস্ট চুলে লাগালে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। সেই সঙ্গে পি এইচ লেভেলের উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, স্কল্পে জমে থাকা মৃত কোষের স্তরও ধুয়ে যায়। ফলে খুশকির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
৪. ভিনিগারের যাদু: শুনতে আজব লাগলে একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এমন ধরনের ত্বকের রোগের চিকিৎসায় ভিনিগারকে যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে দারুন উপকার মেলে। আসলে ভিনিগারের ভেতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান, একদিকে যেমন মৃত কোষের স্তরকে ধুয়ে ফেলে, তেমনি চুলকানির প্রকোপ কমায়। ফলে খুশকির সমস্যা মিটতে সময় লাগে না।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু