অতিরিক্ত ঘুম স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
শেয়ারবাজার ডেস্ক: যাদের একটু বেশি ঘুমানোর অভ্যাস তাদের জন্য দুঃসংবাদই বটে। আর বয়স বেশি হলে বেশি ঘুমের ঝুঁকিও যে বেশি তা জানলে আতঙ্ক তো বাড়বেই। গবেষকরা জানান, দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি ঘুমালে নাকি স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায় ৫০ শতাংশ। আবার কম ঘুমালেও রক্ষা নেই। যারা নিয়মিত ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের জন্য এই ঝুঁকি ১৮ শতাংশ।
সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
গবেষণা দলের জেষ্ঠ সদস্য কে-টি খাও বলেন, ‘স্ট্রোকের ঝুঁকির সঙ্গে ঘুমের সম্পর্কটাও আমাদের বুঝতে হবে। আরও গবেষণা হলে আমরা বলতে পারবো কেন বেশি বয়সী লোকদের অতিরিক্ত ঘুমের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।’
ঘুমের সঙ্গে হৃদস্বাস্থের সম্পর্ক খুঁজে বের করতে ৪২ থেকে ৮১ বছরের প্রায় ১০ হাজার লোকের ওপর জরিপ চালানো হয়। এদের মধ্যে প্রতি দশজনে সাতজন ৬-৮ ঘন্টা করে ঘুমান। আর মাত্র একজন দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমান। গবেষণা চলাকালিন সময়ে এদের মধ্যে ৩৪৬ জন অংশগ্রহণকারী মারাত্মক বা মৃদু স্ট্রোকের সম্মুখিন হয়েছেন।
এদের মধ্যে দেখা গেছে যারা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়েছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুকি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। আর ৬ ঘণ্টার কম ঘুমালে ঝুঁকি বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
কম ঘুমের কারণে হজমে সমস্যাসহ ‘স্ট্রেস হরমোন’ এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রক্তচাপও বাড়ে। তাতেই বেড়ে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকি।
গবেষক দলের সদস্য য়ু লেং বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব উপাত্ত ও সংগৃহিত তথ্য থেকে দেখা গেছে বেশি ঘুমানোর সঙ্গে স্ট্রোকের একটা সম্পর্ক আছে। সেটা স্ট্রোকের লক্ষণ হোক বা হৃদরোগ সংক্রান্ত হোক একটা যোগসূত্র আছেই।’
তবে কোনও কোনও দাতব্য সংস্থা বলছে হৃদরোগের ক্ষেত্রে অধিক ঘুম ‘কারণ’ নয় বরং ‘লক্ষণ’।
এদিকে স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা ব্যবস্থাপক ড. মদিনা কারা বলেন, ‘এই গবেষণায় প্রদর্শিত উপাত্ত স্ট্রোকের জন্য পরিচিত কোনও ‘ফ্যাক্টর’ না। হৃদরোগ সংক্রান্ত ব্যপারে বেশিক্ষণ ঘুমানো একটি লক্ষণ হতে পারে আবার কারণও হতে পারে।’
তবে মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. এলবার্ট রামোস বলেন যে লম্বা ঘুম হৃদ-রোগীদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা। এমন হলে তাদের বোঝা উচিত যে কোলেস্টরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সময় হয়েছে।
উল্লেখ্য, গবেষণাটি মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল ও ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র ‘নিউরোলজি’ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়।