আজ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার |

kidarkar

চলতি মাসেই বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে ভারত

শেয়ারবাজার ডেস্ক: বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতকে তাদের চারটি বন্দরে পণ্য পরিবহনের কাজ শুরু হচ্ছে এ মাসেই। এ সংক্রান্ত সব ধরণের কাজ প্রায় শেষ করেছে বাংলাদেশ। এ কাজে বর্তমানে বাংলাদেশ বেশ সক্ষম বলে জানান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুস সোবহান।

সাউথ এশিয়া মেরিটাইম এন্ড লজিস্টিকস ফোরামের দ্বিতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন বি ইউজড অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া বিটুইন দি পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দি রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া’ চুক্তিটি খসড়ায় অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

সচিব জানান, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট সাউথ ইস্ট ইন্ডিয়ায় মালামাল পরিবহনের জন্য আমাদের সক্ষমতার কোন সমস্যা নেই। আমরা প্রতিবছর মোংলা ও চট্রগ্রাম পোর্ট মিলে প্রায় চার হাজারের বেশি বিদেশি জাহাজ গ্রহণ করি। এর মধ্যে ৬০টি জাহাজ বাংলাদেশি। বাকি সব জাহাজই বিদেশি। কাজেই ইন্ডিয়া থেকে যেসব জাহাজ আমাদের এসব পোর্টে আসবে তার সব জাহাজ হ্যান্ডেল করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

সচিব বলেন, আমাদের পোর্ট পলিসিই হচ্ছে বেশি বেশি বিদেশি জাহাজ রিসিভ করা। যত বেশি জাহাজ হ্যান্ডেল করবো তত বেশি রেভিনিউ হবে। এমনকি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বাড়বে। চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্টে ইন্ডিয়ার জাহাজ আসার পর সাউথ ইস্ট ইন্ডিয়ায় যে মালামাল ক্যারি করবে তা যাবে বাংলাদেশি গাড়িতে। অর্থাৎ বাংলাদেশি ট্রাক ব্যবহার করলে আমরা এখান থেকে নানা ধরণের সুবিধা পাব। এক্ষেত্রে সব ধরণের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

আব্দুস সোবহান বলেন, এতে কোন ধরণের ভৌত কোন অসুবিধা হবে না। ইতোমধ্যে আমরা পোর্ট এক্সপানশনের সব ধরণের কাজ করেছি। চট্রগ্রাম পোর্টে গ্রে টারমিনাল হচ্ছে যেখানে আরও ১৩টি জেটি যুক্ত হবে। এ টার্মিনালটিতে আরও অনেক বেশি বিনিয়োগ বাড়বে। এ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুস সোবহান।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে এ উপলক্ষে যে রোড কানেকটিভিটির কাজ চলছে তার জন্য ডিটেইল মাস্টার প্লান হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্লান বাস্তবায়নে বুয়েট নিয়মিতভাবে কাজ করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ সেটি হলো ড্রেজিং এর কাজ। ২৫ কিলোমিটার ড্রেজিং হবে চ্যানেলের ভিতরে এবং আর ৪৫ কিলোমিটার ডেজিং হবে সমুদ্রের ভিতরে। আর সমুদ্রের ভিতরে ড্রেজারিং করার অভিজ্ঞতা আমাদের সেভাবে নেই। এজন্য টেশনিক্যাল ফিনানসিয়াল কাজ আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। এ কাজে আমাদের মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। কমিটিকে সহযোগীতার জন্য আমরা রাহান নামে নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির সঙ্গেও কাজ করছি। এ কোম্পানিটির সমুদ্র ড্রেজিং এর ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

‘প্রাথমিকভাবে এই পোর্টগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ৮৭০ মিলিয়ন ইউরো খরচ ধরা হয়েছে। তবে পরে এর পরিমাণ বাড়বে।’

এছাড়াও মংলা বন্দরে মাটি ভরাট করে টার্মিনাল নির্মাণের যে কাজ সেটিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। সেখানে শেখ হাসিনা রোডসহ সব ধরণের রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখানে প্রায় তিন হাজার পাচঁশত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সম্মানজনকভাবে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন কারিগরি ট্রেইনিং দেওয়া হচ্ছে যাতে করে তারা নিজেরা নিজেদের জীবন যাপনে ভূমিকা রাখতে পারে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.