শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ৫ কোম্পানি। গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পর্ষদ সভায় অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন হয়। কোম্পানিগুলো হলো: ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বিএটিবিসি এবং ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথা জানা গেছে।

নিম্নে কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনগুলো তুলে ধরা হলো:

 

ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড:

কোম্পানিটি জানুয়ারী-সেপ্টেম্বর’১৮ পর্যন্ত ৯ মাসের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির কর পরবর্তী সমন্বিত মুনাফা হয়েছে ২৭১ কোটি ৯৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৯ টাকা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত মুনাফা হয়েছিল ৩৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা এবং সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩.১৬ টাকা।

এছাড়া আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২.২৪ টাকা, যা আগে ছিল ২২.৪১ টাকা। আর শেয়ার প্রতি সমন্বিত কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১.১৭ টাকা, যা আগে ছিল ১.১৯ টাকা।

ব্যাংক এশিয়া:

তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় আগের তুলনায় ২২ শতাংশ বেড়েছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৫৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির আয় বেড়েছে ০.১৩ টাকা বা ২২.০৩ শতাংশ।

এদিকে, ৯ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারী-সেপ্টেম্বর’১৮ কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.২৮ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির আয় বেড়েছে ০.৫৩ টাকা বা ৪১.৪০ শতাংশ।

এছাড়া আলোচিত সময় ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২০.৬৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪.৭২ টাকা।

সিটি ব্যাংক:

তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় আগের তুলনায় সাড়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৮২ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির আয় বেড়েছে ০.০৭ টাকা বা ৮.৫৩ শতাংশ।

এদিকে, ৯ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারী-সেপ্টেম্বর’১৮ কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৩২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.৭৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির আয় ৯ মাসে কমেছে ০.৪৭ টাকা বা ১৬.৮৪ শতাংশ।

এছাড়া আলোচিত সময় ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৪.৮৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৮.৬৫ টাকা।

 

বিট্রিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড:

তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর’১৮) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিট্রিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় আগের তুলনায় সাড়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে।

জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪.১০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৩.০৮ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১.০২ টাকা বা ৩.০৮ শতাংশ।

এদিকে, ৯ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারী-সেপ্টেম্বর’১৮ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩১.১৮ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১০১.১০ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির আয় ৯ মাসে বেড়েছে ৩০.০৮ টাকা বা ২৯.৭৫ শতাংশ।

ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস:

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.২৮ টাকা। এছাড়া নয় মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ১৮) কোম্পানিটির আইপিও পরবর্তী ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.৮০ টাকা। এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.০৩ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে ইন্দোবাংলার কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া নয় মাসে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।