আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার |

kidarkar

সাপ্তাহিক বাজার: লেনদেন বেড়েছে ১৮৪ কোটি

শেয়ারবাজার রিপোর্ট:  সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সামান্য উত্থান ঘটেছে। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কিছুটা বাড়লেও অন্যান্য সব ধরনের সূচক কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩দিন কমেছে সূচক। বাকি দুই কার্যদিবস বাড়লেও এর মাত্রা ছিলো অত্যাধিক। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে ডিএসইএক্স সূচক ছাড়া সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমান কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ৫০ লাখ ৯ হাজার ২৮৭ টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলছেন, আলোচিত সপ্তাহে (৪-৮ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় সাধারণ বিনিয়োগকারীও সতর্ক অবস্থানে ছিল। ফলে সব খাতের শেয়ারে লেনদেন তেমন একটা হয়নি।  নির্বাচনের আগে বাজারের সব সূচক খারাপ অবস্থায় থাকে। বর্তমানে বাজার যে অবস্থায় আছে, নির্বাচনের পর সে অবস্থায় থাকবে বলে মনে হয় না। তবে বাজার যে অবস্থায় আছে, এখন বিনিয়োগের সময়, বিক্রি করার নয়। যদি কেউ এখন এক বা দুবছরের জন্য বিনিয়োগ করেন, তবে ভালো একটি মুনাফা হবে। ২০১০ সালে বাজার পতন হওয়ার পর ২০১৮ সালে বাজারে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

এদিকে আইসিবির বিনিয়োগ ও চীনা কনসোর্টিয়ামের অর্থছাড়ের খবরে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত গতি পায়নি বাজার। আইসিবির একক প্রচেষ্ঠায় মধ্যেও প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের নিস্ক্রিয় আচরণে সপ্তাহশেষে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বাজার সংশ্লিষ্টরা।

সপ্তাহ শেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ০.৬৪ শতাংশ বা ০.০১ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬.২৬ শতাংশ বা ০.২৬ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ৫.৫৯ শতাংশ বা ০.৪৬ পয়েন্ট। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৪৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। এবং লেনদেন হয়নি ৪টির। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯ হাজার ২৮৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪১১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭০ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৮৪ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার ৬১৭ টাকা ৭.৬৩ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ ১ হাজার ৮৫৭ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৮২ কোটি ৩৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩৬ কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার ৩২৩ টাকা বেশি হয়েছে। তবে কিছুটা কমেছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ২২২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৭৫ দশমিক ৯৭ শতাংশই ছিল ‘এ’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল ‘বি’ক্যাটাগরিভুক্ত, ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৪১.৭৭ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ১১১ কোটি ১০ লাখ ৩১ হাজার ১৭৩ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.