আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ মে ২০১৫, শনিবার |

kidarkar

বোনাস শেয়ারের চাপে লেনদেন বেড়েছে

Share_শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের উত্থান-পতনে সপ্তাহজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিন্তু চলমান ডিভিডেন্ডের মৌসুমে অধিকাংশ কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের স্টক বা বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। পরিণতিতে উভয় বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এতে ডিএসই-তে সপ্তাহ শেষে মোট টার্নওভার ১০৬.৬২ শতাংশ বেড়েছে এবং সিএসই-তে মোট টার্নওভার ৮০ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো হয়। এর সুফল পুঁজিবাজারে পড়বে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। আবার অনেকে ভাবছেন বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের তুলনায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ লাভজনক। যা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।

অপরদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয়ের বেশ সক্রিয় হয়েছে। এতে বাজারে সূচকের উর্ধ্বমূখী প্রবণতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।

কিন্তু বর্তমানে ডিভিডেন্ডের মৌসুম থাকায় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির কাছ থেকে পাওয়া বোনাস শেয়ার বিক্রয়ের প্রবণতা দেখিয়েছে। আগের সপ্তাহে সূচকের উর্ধ্বমুখী ধারায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ায় বোনাস শেয়ার বিক্রি করে গত সপ্তাহে বেশ মুনাফা অর্জন করে। কিন্তু এই সময়ে সেল প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে সূচকের পতন ঘটে।

এই বিষয়ে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহীর মতে, বর্তমান বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সূচকের উর্ধ্বগতি বজায় রাখতে হবে। কারণ টানা পতনের ফলে সূচক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু ডিভিডেন্ডর মৌসুম হওয়ায় বাজারে সেল প্রেশার বেড়েছে। এটা কেটে গেলে বাজারের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।

ডিএসই: দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই-তে গত সপ্তাহের শুরুতে সূচকের উর্ধ্বগতি থাকলেও দুই কার্যদিবসে সূচকের পতন ঘটে। যদিও সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসই এর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪.৬৭ শতাংশ অর্থাৎ ১৯২.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪৩১৪.৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর পাশাপাশি সমাপ্ত কার্যদিবস ভিত্তিতে ডিএসই৩০ সূচক ৪.২০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৫.৫১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬২৩.৭১ পয়েন্টে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৩.৫৭ শতাংশ অর্থাৎ ৩৬.০৭ পয়েন্ট বেড়ে ১০৪৬.৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এর জের ধরে ডিএসই-তে বাজার মূলধন বেড়েছে ২.৭৯ শতাংশ। এই সময়ে ডিএসই-তে গড় লেনদেন বেড়েছে ৬৫.২৯ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসই-তে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ২৬৭টি কোম্পানির, কমেছে ৫০টির, অপরিবর্তীত রয়েছে ৫টির এবং ২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি।

সিএসই: দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই-তে গত সপ্তাহের শুরুতে সূচকের উর্ধ্বগতি থাকলেও দুই কার্যদিবসে সূচকের পতন ঘটে। এর জের ধরে সপ্তাহ শেষে সিএসই সাধারণ সূচক সিএসসিএক্স ৫.৩৮ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৮১৩৩.১০০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এই সময়ে মোট ২৫১ কোটি ৭১ লাখ ২৬ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।

অপরদিকে সিএসই এর অন্য সূচকগুলো যেমন: সিএএসপিআই সূচক ৫.০০৪ শতাংশ বেড়ে ১৩৩২৯.৫৩ পয়েন্ট, সিএসই৩০ সূচক ৩.৯৫ শতাংশ বেড়ে ১০৭১২.৭১ পয়েন্ট, সিএিই৫০ সূচক ৪.৩৯ শতাংশ বেড়ে ৯৬৭.৮৮ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৩.১৪ শতাংশ বেড়ে ৯৩১.৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এই সময়ে লেনদেন হওয়া মোট ২৭২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ২২৭টির, কমেছে ৪১টির এবং ৪টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তীত রয়েছে।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/তু/অ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.