বিয়েতে আতঙ্ক যুবকদের: কারন মেহমান
শেয়ারবাজার ডেস্ক: কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগোতে থাকা আফগানিস্তানের বর্তমান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বিয়ের দাওয়াতের বহুগুন মেহমান৷ সেখানে অনেকেই আছেন যারা বিনা দাওয়াতেই বিয়ে বাড়িতে হানা দিতে শুরু করেছেন৷ ভেড়ার মাংস, মুরগির রোস্ট, কাবুলি পোলাও, দই, শুকনো ফল এবং পুডিং দিয়ে অতিথিদের খাতির করাই আফগানি রেওয়াজ৷
তাই একবার বিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারলে সেই রাতের জন্য পেট ভরে খাওয়া নিয়ে আর ভাবতে হবে না৷ সেই ভরসাতেই একদল যুবক বেছে নিতে শুরু করেছেন এমন ‘পেশা’৷ কিন্তু বিনা দাওয়াতে বিয়ে বাড়ি ঢোকার আগে বুক দুর-দুর করে না এই যুবকদের? যদি সবার সামনেই অপমানিত হয়ে বেরিয়ে আসতে হয়? না, সেই আশঙ্কা নেই একেবারেই৷
অতিথি সৎকারের জন্য প্রয়োজনে জান দিতেও রাজি পাঠানরা৷ আর এক্ষেত্রে তো শুধু অতিথি আপ্যায়নই নয় একই সঙ্গে পাত্র ও পাত্রী ২ পরিবারেরই মান-সম্মান জড়িয়ে রয়েছে৷ জড়িয়ে রয়েছে বহু বিভক্ত পাঠান সমাজের বিশেষ একটি গোষ্ঠীর সম্মানও৷
তাই খরচের পরিমাণ এক ধাক্কায় কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও হাসিমুখে প্রতিটি অতিথির পাতেই সম্মানের সঙ্গে খাবার তুলে দিতে ত্রুটি রাখেন না আপ্যায়নকারীরা৷ শুধু যে সাধারণ পাঠান পরিবারগুলিকেই এমন বেহিসেবি অতিথি আপ্যায়নের মুখে পড়তে হয় তেমন নয়। যেমন কয়েক মাস আগে খোদ আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের পরিবারের বিয়েতেই তো অনাহুত ভাবে হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ৷
কিন্তু প্রেসিডেন্ট যা সামলাতে পারেন, তা কি সবাই পারেন? তাই বিয়ের কথা পাকা হলেই হিসাব বহির্ভূত খরচের কথা ভেবে চিন্তায় পড়ে যেতে শুরু করেছেন বিয়ে করতে যাওয়া পাঠান যুবকরা৷ কঠোর হওয়ার কথা ভেবেও থমকে গেছেন অনেকে৷ কারন, অনাহুতদের কেউ কেউ তো বলেই দিয়েছে, পেট পুরে না খেলে দুঃখের দিনেও তারা সাহায্য করতে আসবে না৷
শেয়ারবাজারনিউজ/রু