আজ: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ইং, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, রবিবার |

kidarkar

বিমানের ভাড়া কমানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন প্রতিমন্ত্রী

শেয়ারবাজার ডেস্ক: দেশের অভ্যান্তরীণ রুটে বেসরকারি বিমানের ভাড়া কমানো যায় কিনা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

আজ রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দফতরে এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) এর প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভ্যান্তরীণ রুটে বাংলাদেশের বিমানের ভাড়ার চেয়ে অনেক কম। আমাদের দেশে বিমানের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ভাড়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ফ্যাক্টর কাজ করে। সরকারি এয়ার লাইন বিমাণের ভাড়া তো তুলনামূলক কম। বেসরকারি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’

এ বিষয়ে অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ভারত সরকার সেদেশে পর্যটন এবা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ লভ্য করার জন্য এক্ষেত্রে বেশ ভুর্তকি দিয়ে থাকে। তাই সেখানে অভ্যান্তরীণ রুটে ভাড়া কিছু কম মনে হলেও ভায়াবিলিটি গ্যাফ হিসেবে সরকার ভর্তুকি দিয়ে বিমান মালিকদের পুষিয়ে দেয়া হয়।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের উন্নয়নে সরকারও অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী ১০০টি ইকোনোমিক জোন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়নও হয়েছে। এ জন্য দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী আসছেন। হলিআর্টিজানের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী খুব ভালোভাবে হ্যান্ডেল করেছেন। এ জন্য দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ প্রসংশিত হয়েছে এবং আস্থা এবং বিশ্বাষের জায়গায় আমরা ফিরে এসেছি। তাই এখন অনেক বিদেশি বাংলাদেশে আসছে। এজন্য এ সেক্টরটাকে আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখাতে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু আজকে বেশি আলোচনা হয়নি। জাস্ট পরিচিত হওয়ার সাথে সাথে কিছু কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘কার্গ হ্যান্ডেলিংয়ে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো দেখতে আমি এক মাসের মধ্যে ৫ বার বিমানবন্দর গিয়েছি। বিশেষ করে পাবলিকদের কাছ থেকে সেবার মান নিয়ে অভিযোগ আসে। আমি সেখানে নিজে গিয়েছি, একসঙ্গে কাজ করেছি। এখন ইমিগ্রেশন শেষ করে আসার সঙ্গে সঙ্গে লাগেজ পাওয়া যাচ্ছে, এটা খুব আশার কথা।’

তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ান ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে সিকিউরিটের ফাইভ স্টারের মর্যাদা দিয়েছে। সেটা আমার জন্য খুব সম্মানের। এ জন্য বর্হিবিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যেসব দাবি দাওয়া রয়েছে সেগুলো আমি নিশ্চয়ই দেখবো বলেও জানান মন্ত্রী।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.