আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, মঙ্গলবার |

kidarkar

অবশেষে ক্যান্সার প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার!

শেয়ারবাজার ডেস্ক: অবশেষে বিজ্ঞানীরা দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার এর প্রতিষেধক আবিস্কার করেছে। ক্যান্সার ব্যাধির কবলে পড়ে প্রতিদিনই হাজারো মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। মরণঘাতী ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে বিজ্ঞানীরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, কিন্তু ফল মিলছে না। অবশেষে, কিউবার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন ক্যান্সার রোগের দাওয়াই!

দেশটির সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। শুধু মরণ রোগ ক্যান্সারের চিকিৎসাই নয়, শরীরে ক্যান্সারের ছড়িয়ে পড়া রুখতে সক্ষম একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করেছে কিউবার বিজ্ঞানীরা। তাদের আবিষ্কৃত টিকায় ইউটেরাস, প্রস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যান্সার শুধু প্রতিরোধ নয়, সেরেও যায়।

জানা যায়, কিউবায় ৪ হাজার রোগীর উপর পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, তারা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। এই টিকার বেশ কিছু দিক রয়েছে।

ক্যান্সারের অ্যাডভান্সড স্টেজেও কাজ করবে টিকা ব্রেস্ট, ইউটেরাস, প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি – নতুন টিকার প্রয়োগে সেরে যাবে এই ক্যান্সারগুলোও, কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

কিউবায় ক্যান্সার নিরাময়ের এই মিরাকল টিকা মিলবে বিনামূল্যেই। তবে অন্যান্য দেশের বাসিন্দাদের জন্যও দাম রাখা হয়েছে সাধ্যের মধ্যেই। সম্প্রতি বসনিয়া, প্যারাগুয়ে, কলোম্বিয়া ও পেরুতে পাওয়া যাচ্ছে এই টিকা।

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের নিয়ে ২০০৭-এ একটি গবেষণা চালানো হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট ক্লিনিক্যাল অঙ্কোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুসারে, সীমাভ্যাক্স নামে একটি ভ্যাকসিনে উপকৃত হয়েছেন ক্যান্সারে আক্রান্তরা।

যে রোগীদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার হয়েছে তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি রোগীর শরীরে ক্যান্সারের টিউমার ধ্বংস করার অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে। রোগীদের ওপর ওই গবেষণার অনুসারে, ওই ভ্যাকসিনের ব্যবহারে ষাট বছরের কম বয়সের রোগীদের বেঁচে থাকার সংখ্যা বেশ বেড়ে গেছে। সূত্র: এএনএন নিউজ।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.