চলেগেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এ আর খান
শেয়ারবাজার ডেস্ক: জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. এ আর খান আর নেই। দেশে বিজ্ঞানচর্চার প্রসারের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটার দিকে লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন।
মৃত্যুকালে এ আর খানের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। এ আর খানের জন্ম ১৯৩২ সালে, ঢাকার বিক্রমপুরে। ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে তিনি স্নাতকোত্তর করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬০ সালে কলম্বো পরিকল্পনার ফেলো হিসেবে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেভেন্ডিস ল্যাবরেটরিতে গবেষক হিসাবে কাজ করেন।
পরে ১৯৬২ সালে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজে যোগ দেন এবং সেখান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি করে দেশে ফেরেন। এরপর প্রথমে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ও পরে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে (অধুনা তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ) অধ্যাপনা করেন।
দেশে বিজ্ঞান চর্চা ও বিশেষ করে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার প্রসারে ড. খান আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। ১৯৭৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বাসভবনের গ্যারেজে প্রতিষ্ঠা করেন অনুসন্ধিৎসুচক্র বিজ্ঞান সংগঠন। তিনি গড়ে তোলেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি। ১৯৯৫ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের হিরণ পয়েন্ট ও পঞ্চগড় থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ দলের নেতৃত্ব দেন। গ্রামীণ বিজ্ঞান শিক্ষকদের মানোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজন সত্যেন বসু বিজ্ঞান শিক্ষক ক্যাম্পের সূচনা করেন। ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন দৈনিকের জন্য রাতের আকাশ চিত্র তৈরি করে দিতেন।সর্বশেষ তিনি হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য সিটি ব্যাংক ও প্রথম আলো আয়োজিত বিজ্ঞান জয়োৎসবের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ড. খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এফ আর সরকার, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি ও ড. খানের ছাত্র অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।
শেয়য়ারবাজারনিউজ/রু