কি হচ্ছে আমরাটেকের শেয়ারে!
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি আমরা টেকনোলজির শেয়ার দর কারণ ছাড়াই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে ১৬ কার্যদিবসই এ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
দেখা গেছে, গত ৪ মে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ২৭.০০ টাকা এবং আজ ২৮ মে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৩৭.৮০ টাকা। সে হিসাবে আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১০.৮০ টাকা বেড়েছে।
জানা যায়, জুন ক্লোজিং এ কোম্পানিটি সম্প্রতি তৃতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী মুনাফায় থাকায় কোম্পানিটির শেয়াররের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, কোম্পানিগুলো প্রান্তিক প্রতিবেদনে মুনাফা বা ইপিএস বাড়লে বিনিয়োগকারীরা এ সকল শেয়ারের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখিয়ে থাকে। যার ফলে বাজারে শেয়ারের দর বাড়তে থাকে। অথচ কোম্পানিগুলো বছর শেষে ডিভিডেন্ড ঘোষণা্ করার পর বিনিয়োগকারীরা এ সকল শেয়ারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় যার ফলে শেয়ারের দর নামতে থাকে। কর্তৃপক্ষের উচিত কোম্পানিগুলোর দর কেন বাড়ছে তা খতিয়ে দেখা। ক্রমাগত শেয়ার দর বাড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটিকে কোন তদন্ত নোটিশ দিচ্ছে না যা রহস্যজনক বলেও মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.৭২ শতাংশ বা ২.৪০ টাকা বেড়ে টপটেন গেইনারের ৭ম স্থানে উঠে আসে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৫.৭০ টাকা থেকে ৩৮.৭০ টাকায় উঠানামা করে সর্বশেষ ৩৮.১০ টাকায় লেনদেন হয়। কোম্পানিটির ৩০ লাখ ৭০ হাজার ৫৫৩টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৫০২ বার হাতবদল হয়, যার বাজার মূল্য দাঁড়ায় ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকা। গত এক মাসে এ কোম্পানির সর্বনিম্ন দর ছিল ২৭.১০ টাকা ও সর্বোচ্চ দাঁড়ায় ৩৭.৮০ টাকা।
২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানির অনুমোদিত মুলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মুলধন ৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর রিজার্ভের পরিমাণ রয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৫টি শেয়ারের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ৩০ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭.৫০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ০.১৮ শাতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬২.৩২ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৪ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু/অ