আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ জুন ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসির উদ্যোগ: অলটারনেটিভ ইনভেষ্টমেন্ট রুলসের খসড়া অনুমোদন

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সে লক্ষ্যে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশনের ৫৪৬তম সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অলটারনেটিভ ইনভেষ্টমেন্ট) রুলস,২০১৫ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। খসড়াটি শিগগিরই জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশ করা হবে। জনমত যাচাই শেষে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন করে আইনটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানিতে তহবিলের সিংহভাগ অর্থ বিনিয়োগের বিধান রেখে প্রাইভেট ইক্যুইটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফিন্যান্সিং রুলসের খসড়া তৈরি হয়েছে। মূলত ব্যক্তিখাতের সম্ভাবনাময় কোম্পানিতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে এসব তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খসড়ায় তহবিলগুলোর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’।
বিএসইসির এ আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট) রুলস, ২০১৫-এর অধীন অনুমোদিত তহবিল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তাবিত অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড পরিচালিত হবে। বিদ্যমান মিউচ্যুয়াল ফান্ড নীতিমালার আদলে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন-পরিবর্ধন এনে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগে বিশেষ এ তহবিল গঠনের নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।
একেকটি অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ন্যূনতম আকার হবে ১০ কোটি টাকা এবং এতে প্রাথমিকভাবে উদ্যোক্তার অংশ কোনোভাবেই তহবিলের মোট আকারের ১০ শতাংশের কম হতে পারবে না। এছাড়া তহবিলের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ অর্থ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। অবশ্য শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন সিকিউরিটিজ ও অন্য তহবিল ব্যবস্থাপক দ্বারা পরিচালিত অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে তহবিলের বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে। তহবিলগুলোর মূল উদ্দেশ্য হবে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাইভেট কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখা। নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, স্থানীয় কোম্পানিগুলোর মূলধন স্বল্পতার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখতে পারে প্রাইভেট ইকুয়িটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফিন্যান্সিং।

আইনটি তৈরির পর অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনো কোম্পানিতে ইক্যুইটি ও কোয়াসি ইক্যুইটি (বিনিয়োগের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার ধারণ) বিনিয়োগ করতে পারবে।

খসড়া অনুসারে, শুধু বিএসইসিতে নিবন্ধিত তহবিল ব্যবস্থাপকরা ফান্ড গঠনের উদ্দেশ্যে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে। স্থানীয়, বিদেশী ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের (এনআরবি) কাছে ইউনিট বিক্রির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা যাবে। এক্ষেত্রে ট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৮২ অনুযায়ী বিএসইসিতে নিবন্ধিত কোনো ট্রাস্টি ইউনিটধারীদের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ট্রাস্টি যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত চাঁদার অর্থ গ্রহণ করবে এবং তহবিলের উদ্দেশ্যে পরিচালিত কোনো তফসিলি ব্যাংক হিসাবে তা জমা করবে।

এছাড়া অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মেয়াদ হবে পাঁচ থেকে ১৫ বছর। প্রসপেক্টাসে ফান্ডের মেয়াদ উল্লেখ থাকতে হবে। ফান্ডের ইউনিটধারীদের বিনিয়োগ তিন বছরের জন্য লক ইন থাকবে। এ সময়ে ইউনিটধারীরা লভ্যাংশ পেলেও বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর আগেই দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে প্রাইভেট ইক্যুইটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল-সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয় কমিশন। শেয়ারবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা তৈরির জন্য সম্প্রতি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও আগ্রহ দেখা গেছে। এ-সংক্রান্ত বিধিবিধান তৈরির জন্য গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নীতিমালা তৈরির কাজ করছে কমিশন।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.