আজ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ জুন ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা: রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অব্যাহতি পেলেও ডিএসই থেকে পাচ্ছে না

biniogkariশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ২০১০-২০১১ অর্থবছরে পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ধস নামার পর বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েন। বিক্ষোভ,আন্দোলন,অনশনের মধ্যে পুঁজি হারানোর প্রতিক্রিয়া জানায় বিনিয়োগকারীরা। অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিরুপায় হয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে। কিন্তু শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে রাষ্ট্র পক্ষ থেকে মামলা করে আন্দোলনরত বিনিয়োগকারীদের গ্রেফতার করা হয়।

অন্যদিকে পুঁজি হারিয়ে বিক্ষোভ করায় রাষ্ট্রপক্ষের পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জও (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এক পর্যায়ে গ্রেফতার আতঙ্কে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন অনেকটা থমকে যায়।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা করার সাড়ে তিন বছর পর ২০১৪ সালের ১০ আগষ্ট রাষ্ট্র পক্ষের মামলা থেকে অব্যাহতি পান বিনিয়োগকারীরা।

কিন্তু ডিএসইর দায়ের করা মামলা থেকে এখনো অব্যাহতি পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। আজ ৮জুন সোমবার  ঢাকার সিএমএম কোর্টের ১৫ নং আদালতে বিনিয়োগকারীরা হাজিরা দিয়েছেন।

হাজিরায় উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক এবং সদস্য সেলিমুল হক। এ সময় আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রাণনাথ আদালতের কাছে মামলাটিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা আখ্যায়িত করে খালাসের জন্য আবেদন করেন। আদালত আগামী ১ অক্টোবর মামলার শুনানীর দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের ব্যাপক ধস নামার কারণ বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেন। ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাদি হয়ে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ৬জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। উল্লেখিত তিনজন বিনিয়োগকারী ছাড়াও অন্যারা হলেন: সহ-সভাপতি মো: সেলিম চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল হক হারুন এবং আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো: আতাউল্লাহ নাঈম।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক শেয়ারবাজার নিউজ ডটকমকে জানান, আমরা লাখো বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় নেমে আর্তনাদ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। বাজার স্থিতিশীল করতে নানা দাবি উত্থাপন করেছিলাম। সেই দাবির প্রেক্ষিতে বিএসইসি পুন:গঠিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে নানা প্রণোদনা দেয়া হয়। বিক্ষোভের সময় কিছু অতি উৎসাহি ব্যক্তি রাস্তায় অগ্নি সংযোগ করে। রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে। সে সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করে। আমরা সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পাই। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি দায়ের করা মামলায় আমাদের গ্রেফতার করা হয় তার ৮ মাস পর। আজো সে মিথ্যা মামলার হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি। আগামী ১ অক্টোবর পরবর্তী  হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা এই মামলা থেকে মুক্তি চাই।

 

 

শেয়ারবাজারনিউজ/সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.