আতাউর রহমান: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আগামী রোববার (১ নভেম্বর) থেকে জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেন আবার শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র মতে, কমিশন পৃথক দুটি বিনিয়োগকারীদের বেনিফিসিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদের কাছে কোম্পানির মূলধনের প্রায় ১০% শেয়ার রয়েছে।

এর আগে কমিশন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অস্বাভাবিক লেনদেন এবং কোম্পানির শেয়ারের দামে ব্যাপক বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের পরে চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারের লেনদেন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কমিশন আরও জানতে পেরেছিল যে দুটি পৃথক বিও অ্যাকাউন্ট এই অস্বাভাবিক লেনদেন এবং শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এই দুটি বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।

২০২০ সালের ৩১ আগস্ট কমিশন জিল বাংলা’র শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয়।

২০২০ সালের জুলাইয়ে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৩১.৬০ টাকা, তবে ১৪ সেপ্টেম্বর এর সর্বশেষ শেয়ার মূল্য ছিল ২১৩ টাকা। এর অর্থ শেয়ারের দাম দুই মাসে প্রায় সাত গুণ বেড়েছে।

ইতিমধ্যে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনও লভ্যাংশ দেয়নি।

এই সময়ে শেয়ার প্রতি কোম্পানির লোকসান হয়েছে ৯৩.৬৯ টাকা এবং শেয়ারের নিট সম্পদ মূল্য ৭০১.৪৬ টাকা নেতিবাচক ছিল।

কোম্পানি গত ৩০ বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনও লভ্যাংশ দিতে সক্ষম হয়নি। এতে প্রতি বছর কোম্পানির লোকসান ভারী হয়ে উঠছে।

এ বছর এর নিরীক্ষকরা বলেছিল যে কোম্পানির লাভ করার সম্ভাবনা কম ছিল। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের সহায়তা দরকার।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ১৯৯০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করা হয়। এরপর ১৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী আরো ১৫ দিনের জন্য কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

 

শেয়ারবাজার নিউজ/এন