আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩১ অক্টোবর ২০২০, শনিবার |

kidarkar

স্টক এক্সচেঞ্জ শুধু বসে থাকলে হবে না- সালমান এফ রহমান

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। শেয়ারবাজারের দায়িত্ব শুধু সরকার, অর্থমন্ত্রণালয় ও বিএসইসির, আর স্টক এক্সচেঞ্জ শুধু বসে থাকবেন, তা না। তাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

আজ শনিবার বিএমবিএ ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শেয়ারবাজারের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং ডিসিসিআই সভাপতি সামস মাহমুদ অংশ নেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান।

সালমান এফ রহমান বলেন, শেয়ারবাজারে যদি কোন দুই নম্বারি হয়ে থাকে, সেটা পুরো পৃথিবীতেই সবার আগে স্টক এক্সচেঞ্জ ধরে। এসইসিতো অনেক পরের বিষয়। প্রথমেই ধরবে স্টক এক্সচেঞ্জ। তাদের ওখানেইতো প্রতিদিন লেনদেন হয়। যেকোন ধরনের অনিয়মের লেনদেন দেখলে বুঝতে পারা যায়।

কিন্তু এখনো আমাদের শেয়ারবাজারে যে কোম্পানি বন্ধ এবং সবাই সেটা জানি, তারপরেও সেই কোম্পানির দর বাড়ে। কারা এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং কারা বিক্রি করে, তা স্টক এক্সচেঞ্জ জানে। এখানে যে ম্যানুপুলেশন হচ্ছে এবং ওপেনলি হচ্ছে, লুকিয়ে কেউ করছে না। কিন্তু যখনই বাজার পড়ে গিয়ে কোন কিছুই হলেই রাস্তায় লোকজন নেমে সরকারকে দোষারোপ করে।

বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, এই যে প্রতিদিন স্টক এক্সচেঞ্জের চোখের সামনে দিয়ে ও নাকের নিচে ম্যানুপুলেশন হচ্ছে, তারা কি অ্যাকশান নিয়েছে। তাদেরইতো ব্রোরকাররা এসব করে আসছে। তো কি ব্যাবস্থা নিয়েছে। তাই আমাদেরকে সরকারকে দোষারোপের মনস্তাত্তিক পরিবর্তন আনতে হবে। পরিপক্ক বাজারের দিকে যেতে হলে এটা করতে হবে।

আমাদের শেয়ারবাজার উন্নতির পথে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাজার নিয়ে আমরা আশাবাদি। এক্ষেত্রে সবাই যেভাবে কাজ করছে, একইভাবে ডিএসইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রিটেইল ইনভেস্টরদেরকে প্রটেকশন দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের, এই মনস্তাত্তিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনি বিনিয়োগ করেছেন, আপনাকেই জেনে-শুনে করতে হবে। লাভ-লস আপনার। আমার কাছেও অনেক লোক বলে লস করেছি, ওইসময় আমি বলি আপনি কত মুনাফা করেছেন, তা বলেন। বিও অ্যাকাউন্ট চাই বিশ্লেষনের জন্য। তখন বলি আপনি কি শুধুই লস করেছেন, আপনিতো যখন লাভ ছিল, তখন বিক্রি করেন নাই, লোভের বশবতী হয়ে আরও মুনাফার আশায় বসেছিলেন। যাতে বাজার পড়ে গিয়ে এখন লোকসানে চলে এসেছেন। এখন সরকারের দোষ দেন। এই মনস্তাত্তিক অবস্থা থেকে আমাদেরকে বের হতে হবে। যারাই বিনিয়োগ করবে, তাদেরকে জেনে-শুনে বিনিয়োগ করতে হবে।

আমাদের বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা বড় দূর্বলতা। রিটেইল ইনভেস্টর বেশি। স্টক এক্সচেঞ্জে ৮০-৮৫ শতাংশই রিটেইল বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অবদান খুবই কম। আর বাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অংশ ৩ শতাংশ বলা হলেও লেনদেনে আরও নেই। আইসিবি ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। কিন্তু একটি বাজারতো একমাত্র আইসিবি দিয়ে চলতে পারে না।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ধারনা হয়ে গেছে বিনিয়োগ করেছি মানেই লভ্যাংশ পাব। অন্যান্য বাজারে এমনটি নেই। কিন্তু অন্যান্য দেশে বড় আইটি কোম্পানিগুলো কোন লভ্যাংশ দেয় না। তারপরেও নিয়মিত শেয়ার দর বাড়ছে। এতে করে ক্যপিটাল গেইন হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এখানে রিটেইল ইনভেস্টরদেরকে প্রটেক্ট করার জন্য লভ্যাংশ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি করে দিয়েছি।

কমিশন বন্ড মার্কেট উন্নয়নে কাজ করতেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা খুবই দরকার। আমি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসতেছি শুধুমাত্র ইক্যুইটিভিত্তিক দিয়ে হবে না, ডেবট মার্কেটও গড়ে তুলতে হবে। আমাদের এখানে ডেবট মার্কেট নেই। তবে পুজিবাজারকে পরিপক্ক করতে ডেবট মার্কেট দরকার।

 

শেয়ারবাজার নিউজ/ এন

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.