আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ জুন ২০১৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

আলোর ঝলকানি দিয়ে নিভে গেল বাজার

indexশেয়ারবাজার রিপোর্ট: শেয়ারবাজারের দৈন্যতা যেন কিছুতেই কাটছেনা। বিপর্যয় যেন লেগেই আছে এখানে। একদিন উর্ধ্বমুখী থাকলেও পরের দিন আবার ঝিমিয়ে যায় বাজার। প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী লেনদেন চিত্রে হতাশ বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারের জন্য অনেক ইতিবাচক খবর নিয়ে গত ৪ জুন বাজেট পেশ করা হয়। বাজেট ঘোষণার পরবর্তী কার্যদিবস (৭জুন) উত্থান থাকলেও এরপরের দুই কার্যদিবস (৮ ও ৯ জুন) টানা পতনে ফিরে বাজার। এরপর গতকাল (১০ জুন) দেশের উভয় শেয়ারবাজারে আবার বিরাজ করে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার শুরুতে  আলোর ঝলকানি থাকলেও কিছুক্ষণ পর নিভে যায় বাজার।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের ব্যাপক পতনে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরুতে বাড়লেও প্রথম আধা ঘন্টা পর ধীরে ধীরে পড়তে থাকে সূচক। বৃহস্পতিবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে উভয় বাজারে আগের দিনের তুলনায় কমেছে লেনদেন।

এ বিষয়ে এসবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি মো. শফিউল আজম শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, বাজেট ঘোষণার আগে উর্ধ্বমুখী ছিলো বাজার। ওইসময়ের ক্রয়কৃত শেয়ার এখন বিক্রি করছেন বিনিয়োগকারীরা। এর কারণে আজকের বাজারে সূচক পড়েছে। আর দেশের শেয়ারবাজারে একদিন সূচক ও লেনদেন কিছুটা বাড়বে আরেকদিন কমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ পতন দীর্ঘ মেয়াদি নয়। কেননা ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক সুখবর রয়েছে। এর প্রভাবে স্বাভাবিকভাবেই বাজার ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরে আসবে বলেও মনে করেছেন তিনি।

দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৫১৫পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৪৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৮৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি ৬৭ লাখ ৬ হাজার টাকা।

এর আগে বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৪২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৫৫৬পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১০৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭৫৯ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৫২১ কোটি ৮৮ লাখ ৭ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭১ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার টাকা বা ১৩.৬৪ শতাংশ।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮৪৬৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ১৪৪টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

এর আগে মঙ্গলবার সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮৪৯৯ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৪৫ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.