মার্কেট মেকার হতে চার প্রতিষ্ঠানের আবেদন
আতাউর রহমান: দেশের উভয় শেয়ারবাজারের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)মার্কেট মেকার হতে চারটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে। বিএসইসির অনুমোদন স্বাপেক্ষে তারা মার্কেট মেকারের দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
বিএসইসি সূত্র মতে,প্রতিষ্ঠান চারটি হলো ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি),ঢাকা ব্যাংক সিকিউরটিজ, সিএসইর সদস্য কবির সিকিউরিটজ এবং বি রিচ লিমিটেড।
মার্কেট মেকার আইন ২০১৭ অনুযায়ী এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হতে হবে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা।
সূত্র মতে,ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) পরিশোধিত মুলধন ৮০৫ কোটি টাকা,ঢাকা ব্যাংক সিকিউরটিজ পরিশোধিত মুলধন ১৮৯ কোটি টাকা, সিএসইর সদস্য কবির সিকিউরিটজ পরিশোধিত মুলধন ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং বি রিচ লিমিটেড পরিশোধিত মুলধন ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মুলধন নিয়ে আবেদন করেছে।
মার্কেট মেকার প্রতিষ্ঠানগুলো মৌল ভিত্তিতে শেয়ার কেনা বেচারের মাধ্যমে শেয়ারের দামকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখবে।
একাধিক তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের জন্য মার্কেট মেকার হতে হলে স্টকব্রোকার বা স্টক ডিলারকে প্রতিটি সিকিউরিটিজের জন্য তাদের পরিশোধিত মূলধনকে ১০ কোটি টাকা বাড়াতে হবে। ৫০ কোটি টাকার মূলধনযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে তিনটি সিকিউরিটিজের জন্য মার্কেট মেকার হিসাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
কোনও প্রতিষ্ঠান একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি অনুমোদিত সিকিউরিটিজের জন্য মার্কেট মেকার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।এক্সচেঞ্জ-ট্রেড ফান্ডগুলো কার্যক্ষম করার জন্য বাজার প্রস্তুতকারকের নিয়ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।