আজ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

‘আল-জাজিরা ভাইরাসে’ আতঙ্কগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী: রিজভী

শেয়ারবাজার ডেস্ক: গোটা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আল-জাজিরা ভাইরাসে’ আতঙ্কগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটির প্রসঙ্গে সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্র এখন মাফিয়ারা চালাচ্ছে, রাষ্ট্র এখন গুন্ডারা চালাচ্ছে। করোনা ভাইরাসে বিশ্ববাসী আতঙ্কগ্রস্ত, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আতঙ্কগ্রস্ত আল-জাজিরা ভাইরাসে। এ ভাইরাসকে কাউন্টার করার জন্য নতুন নাটক তৈরি করা হচ্ছে। সেই নাটকের নাম জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেয়া এবং তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া।’

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার ৩৪ জন নেতাকর্মী, পাবনায় ৪৭ জন নেতাকর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফরমায়েশী সাজা প্রদান এবং দলের বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ সালাহউদ্দিন আহমেদকে অযথা কারাগারে প্রেরণের ঘটনার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, ‘আজকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হঠাৎ করে অন্যায়ভাবে কোনও সুযোগ না দিয়ে নড়াইলের একটি আদালতে সাজানো মামলায় সাজা দেয়া হলো। তারপর এখন আমরা কী দেখতে পাচ্ছি, স্বাধীনতার ঘোষক জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান, তাঁর নাকি খেতাব কেড়ে নেয়া হবে। আর এটির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, কীসের জন্য হঠাৎ করে এ বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হলো? এগুলোর পেছনে তো সরকার আছে। শেখ হাসিনা আছেন। দেশের এই কীর্তিমান মহানায়কের খেতাব কেন কেড়ে নেয়া হবে? ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন সাজা?’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনাদের অনেক নেতা বলেন যে জিয়াউর রহমান নাকি পাকিস্তানের চর. রাজাকার। তাহলে যে ব্যক্তিটি জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাব দিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রীর পিতা (শেখ মুজিব) তিনি কত বড় রাজাকার? উনি তো জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন, আপনারা সেই খেতাব মুছে দেবেন? পারবেন না। গ্রামের কুঠিরে কুঠিরে জিয়াউর রহমানের নাম। পদ্মা-মেঘনার উত্তাল স্রোতে জিয়াউর রহমানের নাম, কোকিলের কণ্ঠে জিয়াউর রহমানের নাম, এই নাম মানুষের হৃদয় থেকে মানুষের অন্তর থেকে এই মাফিয়া সরকার মুছে ফেলতে পারবে না।’

এখন রাষ্ট্রীয় খেতাব কারা পাচ্ছেন- এমন প্রশ্ন রেখে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এখন খেতাব পাবে কে? খেতাব পাবে ২ খুনের আসামি ৪ খুনের আসামি ৫ খুনের আসামিরা। আর জিয়াউর রহমানের মতো দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের খেতাব কেড়ে নেয়া হবে। কারণ কী? সেটি তো আমরা আল-জাজিরায় দেখতেই পাচ্ছি। আজকে খুনিরা অভিনন্দিত, খুনিদের খেতাব দেয়া হয়। কারণ এই রাষ্ট্র মাফিয়ারা চালাচ্ছে, এই রাষ্ট্র গুন্ডারা চালাচ্ছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্যসচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।

শেয়ারবাজার নিউজ/মি

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.