আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ জুন ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

সংশোধন করা হবে এন্টি-মানি লন্ডারিং গাইডলাইন

cseশেয়ারবাজার রিপোর্ট:  চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রোকারেজ হাউজগুলো মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত এন্টি-মানি লন্ডারিং গাইডলাইন আরও সহজ করে সংশোধন করারও দাবি উঠে এসেছে।  আর এ ব্যাপারে কেন্দ্রিয় ব্যাংকও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগুচ্ছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ প্রযোজনায় সিএসই ট্রেক হোল্ডারদের বার্ষিক ‘সিএএমএলসিও সভায় এমন দাবি করেন সিএসই’র স্টক ব্রোকাররা।

সভার ব্যাপারে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম.মাহফুজুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে জানান, ‘ব্রোকারেজ হাউজগুলো কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আগেই একটি গাউডলাইন করা ছিল। এটি আরও সহজ করার দাবি জানানো হয়েছে। আমরাও চিন্তা-ভাবনা করছি গাইডলাইনটি রিভাইজড করা হবে।’

কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র ম.মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।

স্টক মার্কেট মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়নের ব্যাপক আশংকা রয়েছে বাংলাদেশে। তাই স্টক ব্রোকারদের অবশ্যই মানি লন্ডারিং এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে তা কি ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সে সর্ম্পকে একটি স্বচ্ছ্ব ধারণা থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সিএসই’র চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ।

সিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানি লন্ডারিং আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার একটি সুষ্ঠু পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে পারেন এবং বাজেট ঘাটতি কমাতে পারে।’ এসময় চট্টগ্রামের ট্রেক হোল্ডারদের জন্য এরকম একটি আয়োজনকে সাধুবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সিএসইর এমডি ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন বলেন, ‘বাস্তবে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়গুলো কিভাবে কাজ করে এ গোপন বিষয়গুলো এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ট্রেক হোল্ডাররা জানতে পারবে যা তাদের জন্য একটি মজার অভিজ্ঞতা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা ব্রোকারদের অবশ্যই ব্যবসায় আরো স্বচ্ছ্বতার সাথে কাজ করতে সহায়তা করবে।’ এসময় এ আয়োজনকে সফল করতে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী সবাইকেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী অ্যান্টি মানি লন্ডারিং এবং আর্থিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সিএসইর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন,‘যখনই যে ধরনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে সিএসই সবসময়েই তা প্রদান করেছে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে স্টক ব্রোকারদের বিস্তৃতি, মানি লন্ডারিং এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের জন্য এখন সম্ভাবনার এক দ্বার খুলে দিয়েছে এবং এই সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।’

বিএসইসির কমিশনার আমজাদ হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে সিএসই ট্রেক হোল্ডাররা মানি লন্ডারিং সর্ম্পকে আরো যুগোপযোগী তথ্য পাবে এবং স্পষ্টতই এটি তাদের বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির আইন কানুন আরো কঠোরভাবে মানতে সহায়তা করবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএসইসির নজরদারি এখন আগের চেয়ে অনেক কঠোর এবং এই ধরণের সচেতনতামূলক কার্যক্রম ব্রোকারদের নিয়ন্ত্রক কমিটির কঠোর পর্যবেক্ষণের সাথে নিজেদের মানিয়ে চলতে সহায়তা করবে।’

এসময় মানি লন্ডারিংয়ের নানা দিক নিয়ে সাতটি বিভিন্ন টপিকের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি এবং সিএসই ট্রেক হোল্ডার বিশেষজ্ঞরা সাতটি আলাদা সেশনে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক, সিএসই ট্রেক হোল্ডার এবং সিএসইর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু/ও

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.