আগমী ২০২১-২২ বাজেটে ১১ প্রস্তাব ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: আসন্ন বাজেটে (২০২১-২২) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ১১ টি প্রস্তাব দিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বাজাটে ডিএসইর দেয়া ১১টি প্রস্তাব হচ্ছে:- এক্সচেঞ্জের এসএমই বোর্ডের অধীনে তালিকাভুক্ত এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য কর হারের হ্রাস / ছাড়। অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোকে তালিকাভুক্ত সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে। স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের উৎস থেকে কর কমানো। বন্ড থেকে সুদের আয়ের উপর কর অব্যাহতি। লভ্যাংশের আয়ের কর ছাড়। ন্যূনতম কর বিভাগের আওতায় লভ্যাংশ আয়ের অন্তর্ভুক্তি।কর্পোরেট মূল্যায়নের লভ্যাংশ আয়ের উপর কর হ্রাস। তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর কর্পোরেট করের হার কমানো। তালিকাভুক্ত সিকিওরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করের সুবিধা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আয়ের কর থেকে ছাড়। স্টক ডিলারদের শেয়ার লেনদেন থেকে আয়ের কর থেকে অব্যাহতি।
ডিএসইর প্রস্তাবনায়, এক্সচেঞ্জের এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হওয়া সংস্থাগুলোকে তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য ১০% কর ছাড় / ছাড়ের অফার দেওয়া যেতে পারে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে। অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে সিকিওরিটিজ তালিকাভুক্ত হবে এমন সংস্থাগুলোকে তালিকাভুক্ত সংস্থার মর্যাদা দিতে অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। মেম্বারদের কর কমানোর বিষয়ে লেনদেনের মূল্যে উৎস কর হ্রাস করে সর্বাধিক ০.০১৫% রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। জিরো কুপন বন্ডের মত স্টক এক্সচেঞ্জের যে কোনও বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোনও কর্পোরেট বন্ড থেকে সুদের আয়ের উপর যে কর আছে তা থেকে ইস্যুকারী এবং বিনিয়োগকারীদের ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া আরও রয়েছে যে, বাংলাদেশের যে কোনও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনও সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ এর উপর যে কর ছাড় এর সীমা দেয়া হয়েছে সেই সীমা ২ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। লভ্যাংশ আয়ের উপর যে কর রয়েছে তা ধারা ৮২ (সি) এর অধীনে চূড়ান্ত করের দায় হিসাবে বিবেচিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কর্পোরেট শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশের আয়ের উপর কর ১০% কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর এর মধ্যে কর্পোরেট করের হারের পার্থক্য ১৫% এ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ডিএসই।
ডিএসই আরো প্রস্তাব করেছে যে, বর্তমানে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে। যা আগামী ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেষ হবে। সেই বিশেষ কর সুবিধাটি ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে এবং করের হারকে ৫% বিবেচনা করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার ট্রেডিংয়ে লাভের ক্ষেত্রে ৫৬ (১) ধারার ১৬ নং সিরিয়ালটি প্রয়োগ না করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এবং বর্তমানে স্টক ডিলারদের শেয়ার লেনদেন এর ক্ষেত্রে ১০% কর রয়েছে। স্টক ডিলারদের উপরের সেই ট্যাক্স থেকে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ডিএসই।