রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতায় মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হলেও নিরাপত্তা পরিষদকে দেশটির নাগরিকদের ‘মরিয়া আর্জি’ শোনার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
খবর রয়টার্সের

শুক্রবার ক্রিস্টিন শার্নার বার্গেনার নিরাপত্তা পরিষদকে ঐক্যবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে আমরা ছাড় দিয়ে আর কত দূর যেতে দেব?’

তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি মানবিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় এনএলডি। তবে এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন ভোরে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ এনএলডির শীর্ষ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতায় বসেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লাইং।

সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ। তাদের দমন করতে কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি ছুড়ছে সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। গত বুধবার একদিনে ৩৮ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর শুক্রবারেও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে ২৬ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী ঘাড়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মিয়ানমারে এসব রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শার্নার বার্গেনার সেনা শাসকদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদকে অনুরোধ জানিয়েছন। বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের অবসান এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।