আজ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ মার্চ ২০২১, রবিবার |

kidarkar

শাল্লায় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ৩   

জাতীয় ডেস্ক: সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার ভোরে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।

ওসি জানান, এ পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বাধীন মেম্বারসহ ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারদের নাম পরিচয় জানায়নি।

এর আগে গত ১৯ মার্চ গভীর রাতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানা এলাকা থেকে আত্নগোপনে থাকা শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বাধীন মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গত ১৮ মার্চ গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে শাল্লা থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুটন দাস আপন। এর বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে গত ১৬ মার্চ রাতেই শশখাই বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে, কটূক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৭ মার্চ সকালে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫/২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

এরপর গত ১৮ মার্চ সকালে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে হেলিকপ্টারযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা আসেন র‌্যাবের মহা-পরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় তিনি হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পরিদর্শন ও প্রেসব্রিফিং করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শান্তি ও গ্রামবাসীকে নিরাপদে বসবাসের আশ্বাস দেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। এরপর র‌্যাবের মহা-পরিচালকের নির্দেশে নোয়াগাঁও গ্রামে অস্থায়ী র‌্যাব ও পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়।

ওই দিন বিকেলে পৃথক দুইটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা দেড় সহস্রাধিকজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। মামলায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনকে আসামি করা হয়।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.