আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ এপ্রিল ২০২১, শনিবার |

kidarkar

রাজশাহীতে চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

জাতীয় ডেস্ক: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মেরামাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগ আনা হয়। এরপর তাকে নির্যাতন করা হয়। জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরকে নির্যাতনের ছবি তুলে জহিরুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছেড়েছেন।

নির্যাতনের শিকার কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামাতপুর মহল্লার বাসিন্দা। নির্যাতনকারী জহিুরুলও একই এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় লোকজন নির্যাতিত ওই কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ওই কিশোর মেরামাতপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। কিছু সময় পর জহিরুল পুকুর পাড়ে আসেন। এ সময় পুকুরের গোসল করা কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় ওই কিশোরের কান ধরে তাকে পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন জহিরুল।

এরপর একটি গাছের সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখেন। তাকে চড়-থাপ্পড় এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে জহিরুল ইসলাম ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করেন।

জহিরুল ইসলাম বলেন, মাঝে মাঝেই আমার পুকুর থেকে মাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। দুপুরে ওই ছেলেসহ আরও কয়েকজন মাছ চুরি করছিল। তখন ছেলেটিকে হাতেনাতে ধরতে পেরেছি। পরবর্তীতে যেন আরও বড় অপরাধ না করে সে জন্য তাকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। কিশোরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, সবাইকে সচেতন করতে ছবি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।

ওই কিশোরের বাবা বলেন, চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছেন জহিরুল। অন্য কেউ তার পুকুরে মাছ চুরি করতে পারে, আমার ছেলে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। তবুও তাকে মারধর করা হয়েছে। সে এখন হাসপাতালে আছে।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা চাইলে মামলাও করতে পারবেন।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.