সাফারি পার্কের অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় উদঘাটনসহ গ্রেফতার ৩
জাতীয় ডেস্ক: গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভিতরে হত্যাকাণ্ডের শিকার অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এছাড়া ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
নিহত যুবকের নাম কবির হাসান (২২)। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার নয়াপাড়া গ্রামের জাবিউল ইসলামের ছেলে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা হলো— ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার গালিমপুর গ্রামের মো. রুস্তম আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান (৩৭), একই থানার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. আব্দুল হালিম (৩৬) ও যশোর জেলার চৌগাছা থানাধীন চৌগাছা গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. লালটু মিয়া (৪১)।
গতকাল শুক্রবার রাতে র্যাব-১ এর অধিনায়কের পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৩০ মার্চ সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের দক্ষিণ-পূর্বদিকে ৪নং গেটের পাশ থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। র্যাব নিহত যুবকের পরিচয় সনাক্ত করার জন্য র্যাবের নব সংযোজিত Onsite Identification and Verification System (OIVS) এর মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, পরে র্যাব-১ এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকায় গত ১ এপ্রিল র্যাব-১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ডিএমপি’র পল্লবীর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে উল্লেখিতদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির হোসেন (২২) হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দেয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, ২টি গামছা, ৫টি মোবাইল, ২টি ল্যাপটপ, ১ টি ডেক্সটপ, নগদ ১১ হাজার ২৩০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের ভিজিটিং কার্ড, ১৫টি বায়োডাটা, ফাঁকা স্ট্যাম্প, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সিল এবং অফিস আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন তথ্য যাচাই বাছাই করে র্যাবের আভিযানিক দল আরো জানতে পারে, গত ২৫ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের খংসারদি সেতুর নিচে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই হত্যাকাণ্ডের সাথে উক্ত চক্রটি জড়িত রয়েছে বলে তারা স্বীকারোক্তি দেয়। র্যাব উক্ত অজ্ঞাত যুবকের পরিচয়ও উদঘাটন করেছে। যুবকের নাম মো. সাগর হোসেন (২৫)। তিনি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার নন্দইল হাটখোলা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই চক্রটি মানবপাচার, চাকুরি, প্রতারণা ও সুদের ব্যবসাসহ নানা রকম অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।