আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ এপ্রিল ২০২১, সোমবার |

kidarkar

সাজা বাড়লো সাবেক এমপি পাপুল – এর

শেয়ারবাজার ডেস্ক: কুয়েতে দণ্ডিত বাংলাদেশের সাবেক সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল-এর কারাদণ্ড চার বছর থেকে বেড়ে সাত বছর হয়েছে।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) কুয়েত-এর একটি আপিল আদালত তাঁর সাজা বাড়িয়ে দেন। তিন বছর কারাদণ্ড বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে ২০ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তরের বরাতে এই খবর প্রকাশ করেছে দেশটির আরবি দৈনিক আল কাবাস ও আল নাহার।

কুয়েতে শহিদ ইসলাম পাপুল-এর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়। এরমধ্যে একটি ঘুষ লেনদেন ও মানব পাচারের অভিযোগে এবং অন্যটি অর্থ পাচারের অভিযোগে। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের দায়ে আগেই তার চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়। সংগে ১০ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় এবার মানব পাচারের দায়ে আদালত ৩ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ কুয়েতি দিনারের অর্থদণ্ড দিলেন।

আপিল আদালত আজ মানব পাচারের মামলায় শহিদ ইসলামের পাশাপাশি আরও তিনজনকে কারাদণ্ডাদেশ দেন। তাঁরা হলেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাজেন আল জারাহ, কুয়েতের সাবেক সাংসদ সালাহ খুরশিদ ও কুয়েতের একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাঁদের সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওই মামলা থেকে কুয়েতের বর্তমান সাংসদ সাদুন হামাদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মূলত অবৈধভাবে বাংলাদেশের লোকজনকে কুয়েতে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের দায়ে গত জানুয়ারিতে শহিদ ইসলামের চার বছর কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করেন আদালত। এ মামলায় কুয়েতের তিন নাগরিকের পাশাপাশি সাংসদ শহিদের তিন সহকর্মী এবং সিরিয়ার এক নাগরিককে কারাদণ্ড দেন আদালত।

শহিদ ইসলাম-এর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলার বিচার চলছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অর্থ পাচারের দায় এড়ানো সাংসদের জন্য কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁর সাজা আরও কয়েক বছর বাড়তে পারে।

মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েত সিটির বাসা থেকে গ্রেফতার হন লক্ষ্মীপুর-২ আসন (রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) এর সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম। কুয়েতে কারাদণ্ডাদেশ হওয়ার পর সাংসদ পদ হারান তিনি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.