২২ দিন পর চলছে গণপরিবহন
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ২২ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) চালু হয়েছে গণপরিবহন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ ভোর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সব জেলায় বাস চালুর ঘোষণা দেয় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকছে।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জেলার বাইরে গাড়ি যেতে পারবে না। আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে যাত্রবাহী ট্রেন ও নৌযান চলাচল। এসব নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, সড়কে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০%) বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না, কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০% বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া বুধবার (৫ মে) ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রী গাড়িতে ওঠাতে পারবে না এবং গাড়ির স্টাফদের মালিক মাস্ক সরবরাহ করবেন। গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। লকডাউনে মালিক-শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ ক্ষেত্রে রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে কোনও ধরনের অর্থ গাড়ি থেকে আদায় করতে পারবে না।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বিবৃতিতে জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা শহরের মধ্যে গণপরিবহন চলবে। আমরা যে সব নির্দেশনা দিয়েছি, সে অনুযয়ী গাড়ি চালানোর জন্য ঢাকা মহানগরে চলাচলকারী সব রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।