আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩১ মে ২০২১, সোমবার |

kidarkar

বিবিএস ক্যাবলসকে মুক্ত করলো বিএসইসি

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস কেবলস লিমিটেডকে সকল দায় থেকে মুক্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিএসইসিতে জরিমানা মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

কোম্পানি সূত্র মতে, তালিকাভুক্তির পর পরই সিকিউরিটিজ আইন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা না থাকার কারণে কিছু সমস্যা হয়েছে। ফলে কোম্পানির পরিচালকসহ কয়েকজনকে জরিমানা করে বিএসইসি। পরবর্তীতে কোম্পানি জরিমানা মওকুফের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে। কোম্পানির শুনানি শেষে বিষয়টি সমাধান করে বিএসইসি। এখন সকল ধরণের অভিযোগ থেকে মুক্ত বিবিএস ক্যাবল লিমিটেড।

ক্যাবল খাতে ব্যাপক সুনাম আছে কোম্পানিটির। পুঁজিবাজারেও তালিকাভুক্তির আগ থেকেই ভালো ব্যবসা করেছে বিবিএস ক্যাবলস। তালিকাভুক্তির পরও সেই ধারাবাহীকতা ঠিক রাখতে পেরেছে কোম্পানিটি। ফলে বরাবরই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশও দিচ্ছি । সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিলো ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। এই অর্থবছরে সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই-মার্চ ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।

বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বলেন, নতুন হওয়ার কারণে সিকিউরিটিজ আইন নিয়ে আমাদের ধারণা পরিস্কার ছিলো না এবং জ্ঞ্যানের পরিধি ও কম ছিলো, ফলে শুরুতেই সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইনগত বিষয়াবলী প্রতিপালনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিলো। মুলত আমাদেরকে জরিমানা করা হয় মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করার জন্য। কিন্তু সেটি আসলে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিলো না। বিষয়টি আমরা বিএসইসির কে অবহিত ও ব্যাখ্যা প্রদান করেছি যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উপর আরোপিত জরিমানা মওকুফ করেন। এছাড়া অন্যান্যদের উপর আরোপিত জরিমানার বিষয়টি ও সমাধান হয়েছে। এখন আর কোন অমীমাংসিত বিষয় নেই।

তিনি বলেন, বিবিএস ক্যাবলস তালিকাভুক্তির পর থেকেই প্রতি বছর ভালো প্রতিবেদেনর জন্য কর্পোরেট গভার্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আসছে।

তিনি বলেন, বিএসইসি আমাদের বিষয়গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে সমাধান করে দিয়েছে। ফলে এই সাথে সম্পৃক্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমরা কৃতঙ্গ। আশা করি আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

লভ্যাংশের ইতিহাস: ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে বিবিএস ক্যাবলস। তালিকাভুক্তির বছরই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৯ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে ২০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে যথাক্রমে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিলো।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.