নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.১ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ২০২১-২২ অর্থবছর শুরুই হয়নি। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর। এরই মধ্যে এই বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কত হবে তার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটি বলেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে। বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেয়া হয়।
মঙ্গলবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে তিনি ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে লক্ষ্য ধরেছেন।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশব্যাপী চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাই আগামী অর্থবছরে ৫ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি ও তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করবে।
আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এই প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে কোনো পরিবর্তন আনেনি সংস্থাটি।
গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, এ বছর ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
পরে গত মার্চে প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস স্প্রিং ২০২১: সাউথ এশিয়া ভ্যাকসিনেটস’ প্রতিবেদনে এই অঙ্কটা বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত করে বিশ্বব্যাংক।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।
অর্থনীতিতে ব্যাপক অনিশ্চয়তা আছে উল্লেখ করে মার্চের প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। অর্থনীতির এই পুনরুদ্ধার ভঙ্গুর এবং করোনার নতুন ঢেউ শঙ্কা তৈরি করছে।
করোনা মহামারি পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা যেমন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, আবার পরিবর্তিত করোনা পরিস্থিতিতে সরকারকে কী ধরনের নীতি গ্রহণ করতে হয়, তাও আরেক ধরনের অনিশ্চয়তা।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার কারণে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাধাগ্রস্ত হতে পারে, এমনটিই বলা হয়েছিল।
নতুন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত ৮০ বছরের মধ্যে মন্দা পরবর্তী সময়ে এত প্রবৃদ্ধি আর হয়নি। কারণ বিশ্বের কয়েকটি বড় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
তবে উন্নয়নশীল দেশগুলো এখনও করোনা মহামারি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।