অ্যাপে লেনদেনে চার্জ নির্ধারণ, খুশি নয় বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শেয়ারবাজারে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনকারী বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবধারীদের প্রতি মাসে ১০০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রদানের যে সিদ্ধান্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নিয়েছে তাতে খুশি হতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। বরং এটাকে হটকারী সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছে তারা।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ নেতিবাচক আলোচনা হচ্ছে।
কামরুল হাসান নামের একজন বিনিয়োগকারী ফেসবুকে লিখেছেন, অনলাইন লেনদেনে/মোবাইল এ্যাপ ব্যাবহারে সম্পূর্ণ অন্যায্যভাবে ১২০০ টাকা চার্জ বসিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। যা পহেলা জুলাই ২০২১ থেকে কার্যকর করা হবে বলে বলা হয়েছে। প্রতিদিন লেনদেনের উপর নির্দিষ্ট হারে কমিশন, বছরে ৫০০ টাকা করে বিও হিসাব ফি নেয়ার পরও কেন আবার বছরে ১২০০ টাকা ফি দিতে হবে মোবাইল বা ডেক্সটপ এ্যাপ ব্যবহারে?
বিনিয়োগকারীরা যেহেতু প্রতিটি লেনদেনের টাকার উপর কমিশন দিয়ে যাচ্ছে, তাই আধুনিক যুগে লেনদেন সহজ করতে যে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার তারা করবে লেনদেনের সুবিধার্থে। বিনিময়ে তারা প্রতিটি লেনদেনে কমিশন পাচ্ছে। তার জন্য কেন আলাদাভাবে চার্জ দিতে হবে, তাও ১২০০ টাকা করে?
তিনি লিখেছেন, ডিএসই’র এই এ্যাপ সার্ভিসও যথেষ্ট কার্যকরী নয়। একটু বেশি ব্যবহারকারী লগ-ইন করলে বা লেনদেন বেশি হলেই এ্যাপ আর ঠিকমতো কাজ করে না। কারণ এটির সেরকম সক্ষ্যমতা নেই। এ্যাপ ব্যাবহারের মাধ্যমে ডিএসই ব্রোকারেজ হাজউগুলোর বরং খরচ অনেক কমেছে। এর জন্য তাদের ট্রেডার নিযোগ দিতে কম হচ্ছে, বড় অফিস লাগছে না, কার্জকর্ম কমে গেছে। তারপরও তাদের এ সিদ্ধান্ত হটকারীতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
কামরুল স্ট্যাটাসে লেখেন, ১১ বছর পর যেই না একটু দাঁড়াতে শুরু করেছে শেয়ারবাজার, ওমনি তাতে থাবা বসাতে চাচ্ছে ডিএসই। ডিএসই ইচ্ছে করলেই নিজেদের মনমতো কোন সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই চার্জ সম্পূর্ণ প্রত্যাহারসহ লেনদেনের যে কোন একটিতে (ক্রয় বা বিক্রয়) কমিশন নির্ধারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করে এ ব্যাপরে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মো. রুহুল আমিন আকন্দ শেয়ারবাজারনিউজকে বলেন, ডিএসইর মোবাইল অ্যাপ অনেক স্লো। এটা ঠিক মতো ব্যবহার করাই যায় না। আমার সামনে এই মুহূর্তে বসা অনেক বড় একজন বিনিয়োগকারী। তিনি এই অ্যাপে অতিষ্ট হয়ে অন্য একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি বিশেষ প্রয়োজন। এই অ্যাপে বিনিয়োগকারীরা কোনো উপকার পাচ্ছে না। এই মুহূর্তে অ্যাপে যদি চার্জ নির্ধারণ করতেই হয় তাহলে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, করোনার কারণে এমনিতেই বিপদে আছেন তারা। এই মুহূর্তে অ্যাপে লেনদেনের ক্ষেত্রে চার্জ আরোপ অ্যাপ ব্যবহারে অনীহা তৈরি করবে। এছাড়া এই চার্জ আরোপ ডিজিটাল বাজার বিনির্মাণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার ডিএসই’র পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মোবাইল অ্যাপে লেনদেনকারীদের প্রতিমাসে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে। ডিএস’র চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সাইফুর রহমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডিএসইর বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন সব বিনিয়োগকারীকে প্রতিমাসে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১০০ টাকা দিতে হবে। কারণ বিও প্রতি ফ্লাক্সট্রেডকে একশ টাকা ফি দিতে হয়। সেই টাকা এখন থেকে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে।
দেশে বর্তমানে সাড়ে ২৬ লাখ বিওধারী রয়েছেন। তার মধ্যে ডিএসই মোবাইল অ্যাপে যুক্ত আছেন ৬৩ হাজার বিনিয়োগকারী। এদের মধ্যে ২৫ হাজার বিনিয়োগকারী রয়েছেন যারা সক্রিয়ভাবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করেন।
ডিএসই মোবাইল অ্যাপে তিন ধরনের সংস্করণ রয়েছে। এর একটি ব্রোকার হাউজগুলোর জন্য, অন্য দুটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। যার একটি দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করা যায়। অপরটি দিয়ে শুধু লেনদেনের অবস্থা দেখা যায়।
বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেন সহজ করতে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ মোবাইল অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়। তবে অ্যাপ উদ্বোধনের শুরু থেকেই এর সার্ভিস নিয়ে ব্যবহারকারীদের অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে।
এমনিতে ট্রেডাররা বিরক্ত, তার উপর চার্জ আরোপের ফলে আ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত কমে আসবে।
আমিও একমত, আ্যাপ সঠিক মত সময় কাজ করেনা । চার্জ আরোপ করলে অন্প মুলধনের ব্যবহারকারীরা সকলেই এটি বন্ধ করে দেবে।
MAMAR BARIR ABDAR…..
EKHANE DEKHAR KEU NAI? JA ISSA TAI KORBE?
যেহেতু প্রতিটি লেনদেনের টাকার উপর কমিশন দিয়ে যাচ্ছে, তাই আধুনিক যুগে লেনদেন সহজ করতে যে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার তারা করবে লেনদেনের সুবিধার্থে।এ সিদ্ধান্ত হটকারীতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ্যাপ আরও উন্নত করতে হবে।কোন অবস্থা তে আমরা গ্রাহকরা যেন ক্ষতির সম্মুখিন না হই সেদিকে নজর রাখতে হবে।
সেবা দিন সেবার মূল্য নিন। আমরা সেবাটাই ভালো পেলাম না কিন্তু এখনই চার্জ আরোপ কেন?????
Bad decision from bad management of DSE. None can find any strong logic to pay both commission and App fee. BSEC should intervene to this decision.
এই App টিক মত কাজ করে না যে হে তু অামারা বিত্ত চার্জ দিতেছি তার পরে কমিশন অাবার যুক্ত অ্যাপ র জন্য ১২০০ টাকা মরার উপরে খারার গাও । সাধরন বিনিয়গ কারি রা মাসে ১২০০ টাকা শেয়ার বাজার থেকে কামাতে পারে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখচেন ২০১০ সাল থেকে লস অার লস যখনি শেয়ার বাজার একটু গুরে দাড়াতে শুর করলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্যারে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অাপনাদের কাছে অনুরোধ সাধারন বিনিয়োগ কারিদের দিকে একটু তাকান তাদের কশাইয়ে মত অার জবায় করেন না app এর জন্য ১২০০ টাকা দিতে হবে এমনটা মেনে নেয়া যায় না এই ব্য়িষ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্যারে দৃষ্টি কামানা করি অামার সাধারন বিনিয়োগ কারিরা যেন app ব্যাবহার করার জন্য ফ্রিতে সুযোগ সুবিধা করে দেয়ার জন্য বিনিত অাবেদন ।
world give free online trading app.we are taking money.
বছরে ১০০ টাকা করা উচিত!
To impose Tk.1200 per year on Mobail app is very illogical. There shouldn’t be any charge to use mobile app in share market.
Another awful thing is that the DSE is taking decision without public concern. How it could be possible in a democratic country! Finance minister sir, please do the needful. It is our legal demand to Bangladesh Government through you.
এটা অন্যায়, অনৈতিক, আমি এই অন্যায় ও জুলুমের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
Very bad decision. Plz withdraw it.
খারাপ সিদ্ধান্ত খুব খারাপ। আর একটু বিবেচনা করুন একবার ভালো হবে।
এই এ্যাপের কারনে বিনিয়োগকারীদের চেয়ে ব্রোকারেজ হাউজ গুলো বেশি লাভবান হচ্ছে। তাদের উপর বিনিয়োগকারীদের চাপ কমেছে। তাই এই চাজর্ ব্রোকারেজ হাউজ এর বহন করা উচিত। দেখা যায় আমি 1লক্ষ টাকার শেয়ার ক্রয় করলে 600 টাকা আবার বিক্রি করলে 600 টাক কমিশণ দেয়া লাগছে যা সত্যিই জুলুম। তাই তারা (ব্রোকারেজ হাউজ) ক্রয় করার চাজর্ নিবে আর বিক্রি করার চাজর্ এ্যাপ বাবদ ডিএসই কে প্রদান করবে তাহলেই হয়।
আমাদের এই দেশে সব আইন কানুন নাম মাত্র ঠং আর কি ভাবে মানুষকে ধোকা দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা যায় কারণে বা অকারণে কোন সুযোগ পেলেই হয় বা সুযোগ করে নেয় ….
কারণ আমরা প্রজা (প্রজাতন্ত্র না) বলে…
আমাদের এই দেশে সব আইন কানুন নাম মাত্র ঠং আর কি ভাবে মানুষকে ধোকা দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা যায় কারণে বা অকারণে কোন সুযোগ পেলেই হয় বা সুযোগ করে নেয় ….
কারণ আমরা প্রজা (প্রজাতন্ত্র না) বলে…