আজ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বাংলাদেশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘকে স্পষ্ট রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (১৬ জুন) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার-এর সংগে দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে এই অনুরোধ জানান তিনি। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ফেসবুক পেজে দেওয়া বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি; তবে এই সংকটটির সমাধান নিহিত রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের ওপর, যা গত চার বছরে সম্ভব হয়নি। আমরা চাই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করুক।’

বার্গনার-এর সংগে বৈঠকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ সময় ধরে কক্সবাজারে অবস্থানের নেতিবাচক দিক, বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর তার বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অতি সত্বর যদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হয়, তাহলে তা কেবল ওই এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না, বরং সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ও তার বাইরেও অস্থিরতা তৈরি করবে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার-বিষয়ক বিশেষ দূতকে ভাসানচর প্রকল্পের কথা অবহিত করেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সেখানে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ যেন ভাসানচরে মানবিক সহায়তা প্রদান করে, সে জন্য বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকে বিশেষ দূত বার্গনারকে ভাসানচর সম্পর্কে অবহিত করেন মন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাঁকে ভাসানচর পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান আব্দুল মোমেন। বিশেষ দূতও ভাসানচর পরিদর্শন করতে তাঁর আগ্রহের কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার যেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, অচিরেই যাতে প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা যায়, সেজন্য জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ-বাহ্যিক সব অংশীজনদের সঙ্গে বিশেষ দূত বার্গনার যোগাযোগ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা অংশগ্রহণ করেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.