আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ জুন ২০২১, বুধবার |

kidarkar

সূচক পতন, কেন?

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার বড় পতন হয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। এদিন প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৯ পয়েন্ট। এটাকে বড় কারেকশন মনে হলেও বাজার নিয়ে পেনিক হওয়ার মতো কিছু নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বরং বিনিয়োগকারীদের খাত ভিত্তিক মুভমেন্টকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তারা।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বুধবার ব্যাংক, বীমা আর বস্ত্র খাতে বড় পতন হয়েছে। প্রক্ষান্তরে দর বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বীমা খাতের শেয়ার দর বেশ দ্রুত বেড়েছিল। ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো আকর্ষণীয় মুনাফা ও লভ্যাংশ দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের আলাদা আগ্রহ তৈরি হয় এই খাতে। তবে খাত পরিবর্তন করে চলতি সপ্তাহে বস্ত্র খাতের শেয়ার তুমুল আগ্রহ দেখায় বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ তিনখাত থেকেই মুখ ফিরিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। বুধবার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দিকে ফেরে তারা। এই খাতের লেনদেন হওয়া প্রতিটি ফান্ডের দর বেড়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজকে বলেন, বিনিয়োগকারীরা বীমা খাত থেকে ব্যাক আর বস্ত্র খাত ঘুরে মিউচুয়্যাল ফান্ডে এসেছে। এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নাই। বরং সেক্টর ওয়াইজ যে মুভমেন্ট হচ্ছে তা বেশ ইতিবাচক।

তিনি আরও বলেন, বাজারে কারেকশন হয়েছে এটা ঠিক। তবে এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

বাজান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছর শেষের মাত্র পাঁচ কার্যদিবস আগে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ভালো আয় হয়েছে। ফলে লভ্যাংশ কেমন হবে তার দিকে চোখ বিনিয়োগকারীদের। এ কারণেই এই খাতে আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

আরাফাত নামের একজন বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারনিউজকে বলেন, মিউচুয়্যাল ফান্ড তিন প্রান্তিকে ভালো আয় করেছে। যা গত গত ১০ বছরের মধ্যে বেশি। এ অবস্থায় এই খাতে বিনিয়োগ অনেক লাভজনক হবে বলে মনে করছি। আমি মনে করি এবার ইউনিট মূল্যের তুলনায় বেশ ভালো পরিমাণে লভ্যাংশ আসতে পারে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।

বাজার পরিস্থিতি

বুধবার ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৯৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হয়েছে ৩৭২ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৩ টির, দর কমেছে ২১৭ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২ টির।

ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ২ হাজার ২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে ১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩১৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৮১টির আর ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.