শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ দীর্ঘায়িত করার কারণ বললেন প্রধানমন্ত্রী
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: হামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাতীয় সংসদে বিভিন্ন সময় স্কুল–কলেজ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সাংসদরা। আজ শনিবার সমাপনী বক্তব্যে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এই দাবির পুনরাবৃত্তি করেন।
তাঁর বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লেখাপড়া শিখবে, কিন্তু লেখাপড়ার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি না, তা মাননীয় সংসদ উপনেতা তা একটু বিবেচনা করবেন। বলার জন্য বলতে পারেন, কিন্তু এটাও একটু চিন্তা করবেন, ছেলেমেয়েদের মৃত্যুর মুখে দেবেন কি না?
আজ চলতি একাদশ সংসদের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবির জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল বন্ধ, এ জন্য একটু ক্ষতি হচ্ছে। টিকা দেওয়ার পরে আমরা সব স্কুল খুলে দেব। এর আগে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখনই সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ল, আর তার ধাক্কা এসে পড়ল আমাদের মাঝে। এখন তো শিশুদেরও করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। লেখাপড়া শিখবে কিন্তু লেখাপড়ার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি না, মাননীয় সংসদ উপনেতা তা একটু বিবেচনা করবেন। বলার জন্য বলতে পারেন, কিন্তু এটাও একটু চিন্তা করবেন ছেলেমেয়েদের মৃত্যুর মুখে দেবেন কি না?
নিজের নাতিরা ও ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমরা দেখেছি। সবই অনলাইন। একটু খুলল আবার মহামারি ছড়িয়ে পড়ল, সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ। আবার ঘরে বসে কাটাচ্ছে। হ্যাঁ, তারা অপশনও দিচ্ছে। যারা ঘরে বসে পড়বে তারা পড়ছে। যারা যাচ্ছে স্কুলে যাচ্ছে। আবার যখন করোনা বেশি ছড়ায় সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করছে। শুধু বাংলাদেশ কেন এখন সারা বিশ্বে এই অবস্থা। সেটা সবাইকে ভাবতে হবে।
শিক্ষা খাতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সর্বস্তরে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। করোনাকালে স্কুল শুরু হবে জন্য বাজেটে টাকা রেখেছি–শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস, জুতো, ব্যাগ কেনা ও স্কুল ফিডিংয়ের জন্য। স্কুল বন্ধ আছে কিন্তু পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য সংসদ টিভি চালু আছে। আমরা রেডিও উন্মুক্ত করে দিয়েছি। রেডিওর মাধ্যমে পাঠ চলছে। যেভাবে সম্ভব পড়াশোনার কাজটি চালিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছি।
যে ভাবে করোণা মহামারি সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে আমি মনে করি স্কুল কলেজ খুললে যদি ছাত্র ছাত্রিদের মাঝে করোনা মহামারি ছড়াই তাহলে কি করবে.আমার মনে হয় স্কুল বন্ধ দেয়ার জন্য ডাঃ দিপু মুনিকে ধন্যবাদ জানায়. করোনা মহামারি কমলে তারপর স্কুল কলেজ খুলবেন
যেমন আজকে ১৩৪ জন করোনা মহামারিতে মৃত্যু হয়েছে এই ভাবে স্কুল কলেজ খুলে দিলে ছাত্র ছাত্রিরা বিপদে পরবেন অবশ্যই. যে আজ সংসদ ভবনে শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেছে আমি মনে করি তারাই হচ্ছে বকা মত প্রশ্ন করেছে. শিশুরাই হচ্ছে আগামী দিনের গর্ব. শিশুদের এই বিপদে ভেলার জন্য বিএমবি দলের মানুষ গুলো চারছে যে এই করোনা মহামারিতে স্কুল কলেজ খুলা হক.