লকডাউনের দশম দিনে সড়কে গাড়ি কমেছে
শেয়ারবাজার ডেস্ক: কঠোর লকডাউনের দশম দিন চলছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে রিকশা ও মানুষের চলাচল রয়েছে। আগের তুলনায় ঢিলেঢালা পুলিশের চেকপোস্টগুলো।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে যাদের জরুরি প্রয়োজনীয় অফিস খোলা আছে তাঁরা বাইরে বের হয়েছেন। গণপরিবহন না চলায় চলাচলের একমাত্র ভরসা রিকশা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে রিকশায় যেতে মানুষকে পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাড্ডার আব্দুর রহমান। একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত লকডাউনে তাঁদের যাতায়াতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। কোম্পানি থেকে আনা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই ফলে নিজের খরচে যেতে হয়। বাড্ডা থেকে মতিঝিল যেতে প্রতিদিন দেড় শ থেকে দু শ টাকা খরচ হয়। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন আমাদের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে।’
শামিম রহমান নামের আরেক ব্যক্তির বলেন, ‘আমি রামপুরা থেকে মহাখালী যাব কিন্তু এখান থেকে কোন রিকশা সরাসরি মহাখালী পর্যন্ত যায় না। যার ফলে আমাকে ভেঙে ভেঙে মহাখালী পৌঁছাতে হয়। চরম ভোগান্তির সঙ্গে গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া।’
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের দুজন আরোহী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাজধানীর সড়কে সেটি অমান্য করেই মোটরসাইকেলে দুজন আরোহী নেওয়া হচ্ছে। প্রধান সড়কের পাশের দোকানপাটও আস্তে আস্তে খুলতে দেখা গেছে। খাবারের দোকানগুলোতেও অর্ধেক সাটার খুলে দিয়ে ভেতরে লোক বসে খাওয়াচ্ছেন। তা ছাড়া অলি গলির ভেতরে মানুষের অবাধ চলাচল এখনো থামেনি।
হোটেলে খোলা রেখে ভেতরে বসে খাওয়াচ্ছেন কেন জানতে চাইলে জান্নাত বিরিয়ানি হাউসের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘লকডাউনের দশ দিন হতে চলেছে কোন ইনকাম নেই। মাসে দোকানের ভাড়া দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা। কীভাবে চলব বলেন ভাই। কোন রকম বেঁচে থাকার জন্য নিয়ম অমান্য করে হলেও হোটেল খোলা রেখেছি।’
এদিক লকডাউন বাড়লেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়েনি। রাস্তায় বের হওয়া মানুষেরা মানছেন না কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ছাড়াই হরহামেশাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
রামপুরা পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্বে থাকা এসআই জহির আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেহেতু আজ শনিবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ফলে সড়কে গাড়ি ও মানুষের চলাচল কিছুটা কম। এসব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা আবার বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষ আছেন যারা অকারণে বাইরে আসছেন। কেন বাইরে এসেছেন জিজ্ঞেস করলে যথাযথ কারণ বলতে না পারলে তাঁদের আমরা মামলা দিচ্ছি, জরিমানা করছি। এতে করেও যদি মানুষ একটু সচেতন হয় এবং ঘরে থাকে।
করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে গত পয়লা জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।