স্মলক্যাপে আরও দুই কোম্পানির অনুমোদন
শেয়ারবাজার ডেস্ক: এসএমই খাতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং মাস্টাল ফিড এগ্রোটিক লিমিটেডকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজের (কিউআইও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে।
বুধবার (১৪ জুলাই) বিএসইসির ৭৮৪তম সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কিউআইও এর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূলে ১ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.০২ টাকা এবং পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.০৯ টাকায়। এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল এবং সিটি ব্যাংক রিসোর্সেস। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে যে সকল ইনডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর (রেসিডেন্ট অ্যান্ড নন-রেসিডেন্ট)এর বাজার মূল্যে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা তদুর্ধ্ব সে সকল ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে বিবেচিত হবে। উল্লেখ্য, এটি কোনো পাবলিক অফার নয়, বাংলাদেশে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির জন্য কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার। (কিউআইও)।
আর মাস্টার ফিড এগ্রাটিক লিমিটেড কিউআইও এর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূলে ১ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৮ টাকা এবং পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪.০৮ টাকায়। এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পাটনার্স ইনভেস্টমেন্ট। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে যে সকল ইনডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর (রেসিডেন্ট অ্যান্ড নন-রেসিডেন্ট)এর বাজার মূল্যে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা তদুর্ধ্ব সে সকল ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে বিবেচিত হবে। উল্লেখ্য, এটি কোনো পাবলিক অফার নয়, বাংলাদেশে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির জন্য কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার। (কিউআইও)।
বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে শুরু থেকে এই কোঃ গুলোকে কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা দুঃখ জনক। কয়েক বছর লাভ দেখিয়ে এক সময় শেয়ার বিক্রি করে উদ্যোক্তারা চলে যায় এবং কোঃ বন্ধ হয়ে যায়।