বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে গেল জমিয়ত
শেয়ারবাজার ডেস্ক: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে গেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বাহাউদ্দিন যাকারিয়া বলেন, বিএনপি জোটের শরীকদের যথাযথ মূল্যয়ণ না করা, শরীক দলগুলোর সংগে পরামর্শ না করে তিনটি উপনির্বাচন একক সিদ্ধান্তে বর্জন করা, জোটবদ্ধ কার্যক্রম না থাকা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর শরীয়া-বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তাঁরা এককভাবে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জমিয়তে উলামা’র নেতা আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী’র জানাজায় বিএনপি অংশ নেয়নি এবং সমবেদনাও জানায়নি। মোদি’র আগমনকে কেন্দ্র করে জমিয়ত-এর আলেম-ওলামার জেল জুলুমের বিষয়ে কোনো প্রতিবাদও করেনি বিএনপি। তাই জমিয়ত মনে করে জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করাই কল্যাণকর।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন। দলটির শীর্ষ নেতা মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী ও মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস-এর সংগে বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দল ভেঙে যায়। দু’টি গ্রুপ হয়ে মূলধারার নেতৃত্বে ছিলেন বারিধারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। গত বছর ১৩ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। এরপর জমিয়ত-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা জিয়া উদ্দীন।
আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মুফতি ওয়াক্কাস। তিনি চলতি বছরের ৩১ মার্চ মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে অনেকটা স্থগিত হয়ে যায় এই অংশের কার্যক্রম। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুফতি ওয়াক্কাস। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে আবারও এমপি হন। এরশাদ সরকারের পতনের পর ওয়াক্কাস জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে যোগ দেন এবং ২০০১ সালে ইসলামী ঐক্যজোট-এর প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে সংগঠনটি বিএনপি’র সংগে জোটবদ্ধ হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে দলটির দু’জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।