আগ্রহ বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
শেয়ারবাজার ডেস্ক: মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আয় মূলত নির্ভর করে শেয়ারবাজারের উপর। কারন ফান্ডগুলো থেকে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে মূলত শেয়ারবাজারে। যেই বাজারের গত ১ বছরে উন্নতি হয়েছে ৫৭ শতাংশ। যা নিশ্চিতভাবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ব্যবসায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে করে ফান্ডগুলোর লভ্যাংশেও ইতিবাচক প্রভাব পড়া স্বাভাবিক হবে বলেই মনে করছে বিনিয়োগকারীরা। যাতে করে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ঝুঁকছেন তারা।
দেখা গেছে, ১ বছর আগে অর্থাৎ গত বছরের ১৯ জুলাই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছিল ৪০৫০.৬৫ পয়েন্টে। যা আজ (১৮ জুলাই ২০২১) বেড়ে দাড়িঁয়েছে ৬৩৬৫.১২ পয়েন্টে। অর্থাৎ ১ বছরে ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৩১৪.৪৭ পয়েন্ট বা ৫৭ শতাংশ। যা সিকিউরিটিজের দর বৃদ্ধির মাধ্যমে এই উন্নতি হয়েছে।
আর মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করা হয় শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সিকিউরিটিজে। গত ১ বছরে যেহেতু সিকিউরিটিজের দর বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারের অনেক উন্নতি হয়েছে, সেহেতু ফান্ডের মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়াটাও স্বাভাবিক।
এরফলে ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বেড়েছে। এছাড়া ফান্ডের ক্ষেত্রে অন্যান্য খাতের তুলনায় অল্প সময়ে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হয়। অন্যান্য খাতের জন্য অর্থবছর শেষ হওয়ার পরে ৪ মাস থাকলে ফান্ডের ক্ষেত্রে মাত্র দেড় মাস। এ হিসেবে ফান্ডগুলোকে আগামি মাসের বা আগস্টের ১৫ তারিখের মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হবে।
এছাড়া ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের ঝুকেঁ পড়ার পেছনে আরেকটি কারন হিসেবে রয়েছে নগদ লভ্যাংশ ও ইউনিট দর কম। এখন ফান্ডগুলো শুধুমাত্র নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে। এছাড়া ইউনিট দর কম হওয়ায় ডিভিডেন্ড ইল্ড (দরের তুলনায় লভ্যাংশ) হয় বেশি।
দেখা গেছে, রবিবার (১৮ জুলাই) মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ৩৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩৪টি বা ৯১.৮৯ শতাংশের দর বেড়েছে। মাত্র ১টি কোম্পানির দর কমেছে ও ১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। বাকি ১টির লেনদেন হয়নি।